ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রশ্ন ফাঁস: জড়িত বুয়েট শিক্ষক! 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২১
প্রশ্ন ফাঁস: জড়িত বুয়েট শিক্ষক!  নিখিল রঞ্জন ধর

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক নিখিল রঞ্জন ধর প্রতিবার প্রেস থেকে দুই সেট প্রশ্ন ব্যাগে করে নিয়ে যেতেন। আর এভাবেই তিনি সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন চক্রের অন্যদের কাছে পৌঁছে দিতেন।

 

সরকারি পাঁচ ব্যাংকে সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে উত্তর বিক্রির অভিযোগে আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক দেলোয়ার হোসেন, পারভেজ মিয়া এবং প্রেসকর্মী রবিউল আউয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কর্মকর্তারা। আশুলিয়ার প্রেস থেকে কর্মী রবিউল প্রশ্ন নিয়ে দেলোয়ারকে দেন। দেলোয়ার সেই প্রশ্ন আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী পারভেজ মিয়া ও মোক্তারুজ্জামান রয়েলকে দিয়েছেন। এর বিনিময়ে এক লাখ টাকা করে পেয়েছেন দেলোয়ার ও রবিউল।

দেলোয়ারের দাবি,  বুয়েটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান নিখিল রঞ্জনের মাধ্যমেই অল্প টাকায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নিয়োগ পরীক্ষার টেন্ডারগুলো পেয়েছে আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন নিখিল রঞ্জন। তিন আসামির জবানবন্দিতে কাজী শরীফুল নামে আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন কর্মকর্তা এবং দেলোয়ারের ভগ্নিপতি মুবিন উদ্দিনের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় ডিবির একাধিক সূত্র।

নিখিল রঞ্জন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি শুধু সেখানে টেকনিক্যাল সাপের্ট দিতাম। প্রশ্ন তৈরির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। সে (দেলোয়ার) যা বলছে, এটা ঠিক নয়। আমি বুয়েটের শিক্ষক, আমি কেন প্রশ্ন নিয়ে আসব’ এক প্রশ্নে নিখিল বলেন, ‘ওরা টেকনিক্যাল সাপোর্ট চায়, আমি তখন যাই। সিট ও সেন্টার অ্যারেঞ্জমেন্টটা আমি করে দিই। প্রশ্নের সব কিছু উনারাই করেন। ’

ডিবির তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহাদাত হোসেন সুমা বলেন, ‘তদন্ত করতে গিয়ে অনেকের নামই পাচ্ছি। তদন্তের স্বার্থে তা প্রকাশ করা যাবে না। ’

এর আগে বুধবার রাতে রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকা থেকে দেলোয়ার ও রবিউলকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মহাখালী থেকে পারভেজকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার তিনজনই ঢাকার মহানগর হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদেও অপরাধ স্বীকার করেছেন তিনজন। এ সময় তারা ছয় বছর ধরে প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত বলে জানান।  
৬ নভেম্বর সমন্বিত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস করে উত্তর তৈরির কাজ কীভাবে হয়েছে তা বর্ণনা করেন তিনজন।

জবানবন্দিতে দেলোয়ারের দাবি, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অল্প টাকায় পরীক্ষার টেন্ডারগুলো আনতেন বুয়েটের শিক্ষক নিখিল রঞ্জন ধর। দেলোয়ারও কয়েকবার নিখিলের ব্যাগে প্রশ্ন দিয়েছেন। তবে ব্যাগে প্রশ্ন নিয়ে নিখিল তা বিক্রি করেছেন কি না, সেটা নিশ্চিত করতে পারেননি দেলোয়ার।  

ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস, গ্রেফতার ১০

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২১ 
এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।