রাজশাহী: সেনাবাহিনীর বেসামরিক পদে চাকরি দেওয়ার নামে ধোঁকাবাজি ও অর্থ আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে রাজশাহীতে দুজনকে আটক করেছে র্যাব-৫।
শনিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে রাজশহীর র্যাব-৫ পরিচালিত অভিযানে তানোর উপজেলার ভালুকা কান্দর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
বিকেলে র্যাব-৫-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. নাজমুস সাকিব এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আটক দুজন হলেন- রাজশসহীর তানোর উপজেলার কলমা ইউনিয়নের ভালুকা এলাকার শফিকুল ইসলাম ওরফে বাবুল ও রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা এলাকার আনোয়ার হোসেন ওরফে সাবের আলী।
র্যাব-৫-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. নাজমুস সাকিব জানান, প্রতারক চক্রটি ২০২০ সালের জানুয়ারিতে রাজশাহী জেলার তানোর উপজেলার রঞ্জু, আলমগীর ও মেহেদী হাসানের নামের তিন যুবককে সেনাবাহিনীর বেসামরিক বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেন। তারা চাকরি দেওয়ার কথা বলে মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। সাবের আলীর বাসায় তাদের একটি লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়।
পরে রাজধানীর উত্তরায় একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে তাদের শারীরিক যোগ্যতা ঠিক আছে বলে জানায়। ফেব্রুয়ারিতে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি।
জুনে তাদের র্কমস্থলে যোগদান করতে হবে জানিয়ে যোগদানের আগে অবশিষ্ট টাকা প্রদান করতে বলা হয়। অবশিষ্ট টাকা পরিশোধের কথা বলে রঞ্জু এবং আলমগীরকে খালি চেক ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর গ্রহণ করে। ভুক্তভোগীরা ঢাকায় চাকরিতে যোগদানের জন্য গিয়ে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে সাবের আলীর সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা ব্যর্থ হন। ওই ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারক চক্রের দুই সদস্য সাবের ও বাবুলকে আটক করা হয়।
ভুক্তভোগীদের বিশ্বাস করাতে নিজের ছেলেকেও ওই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী হিসেবে দেখায় প্রতারক বাবুল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা অভিযোগ স্বীকার করেন। তারা টাকার বিনিময়ে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার কথা বলে কৌশলে প্রতারণা করে আসছিল।
বিভিন্নজনকে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন তারা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলেও জানান র্যাবের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২১
এসএস/জেএইচটি