ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গুলশান যেন নিউইর্য়ক! 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২১
গুলশান যেন নিউইর্য়ক! 

ঢাকা: সম্প্রতি আমার ছেলেকে আমি কিছু ছবি পাঠিয়েছিলাম। সেগুলো আমিসহ গুলশানের ছবি।

আমার ছেলে গুলশানের ছবিগুলো দেখে আমাকে জিজ্ঞাসা করল- মা, তুমি কী এখন নিউইয়র্কে আছো?

'প্রকৃতপক্ষে গুলশানের অবকাঠামো দেখে আমার ছেলের কাছে সেটি নিউইয়র্ক মনে হয়েছে। এবং এটা সত্য যে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের অবকাঠামো অনেক বেশি উন্নত হয়েছে। কিন্তু সব এলাকা কি একই রকম?

আমি যতটুকু দেখেছি, বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়ন আসলে সব জায়গায় সমানভাবে হয়নি। যেমন আমি গুলশানে যেটা দেখেছি, ঠিক তেমনিভাবে কক্সবাজারকে নিয়ে আমি বলতে পারবো না। একইভাবে খুলনা, ময়মনসিংহের উন্নয়নগুলো বলতে পারবোনা। গুলশানের মতো তাই আমার মনে হয় এই অবকাঠামোগত উন্নয়ন সামগ্রিকভাবে হওয়া প্রয়োজন।

সোমবার (২২ নভেম্বর) সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত একটি জাতীয় সংলাপে এ কথা বলেন বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ এবং ভুটান) মার্সেই মিয়াং টেমবন।

রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দিনব্যাপী আয়োজনে মার্সেই মিয়াং টেমবন আরও বলেন, একটা দেশের উন্নয়নে কমবেশি ওঠানামা থাকবেই এবং এটি প্রত্যেকটি পরিবারের মতো, ব্যক্তি জীবনের মতো। সেখানে উথাল পাথাল থাকবেই। তবে আমাদের এগুলোকে সামগ্রিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এই অগ্রগতিতে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক সবসময়ই বাংলাদেশের সঙ্গে থাকতে চায়। কেননা বিশ্বের যে কয়েকটি দেশ খুব স্বল্পতম সময়ে উন্নতি করেছে এবং ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে, বাংলাদেশে তাদের মধ্যে অন্যতম।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের পোশাকশিল্প, চামড়াশিল্প, কৃষিক্ষেত্র অনেক সমৃদ্ধ এবং এগুলো দিয়ে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম। এছাড়া বাংলাদেশের এমন অনেক সম্পদ রয়েছে যা আসলেই বাংলাদেশকে একটি উন্নত জায়গায় নিয়ে যেতে পারে।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অংশে মূল বক্তব্য রাখেন ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন। তিনি বিশ্বের অন্যান্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সঙ্গে তুলনা করে  বলেন, কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নীত হওয়া বিশ্বে বর্তমানে একটি পরীক্ষিত বিষয়। এর প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং কৃষি ক্ষেত্রেও এসে পড়ছে।

উদ্বোধনী পর্বের শেষ অংশে সিজিএস চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে হবে। অর্থনীতিকে প্রস্তুত রাখাই হবে এখন প্রধান কাজ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২১ 
এইচএমএস/এসআইএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।