সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে ফুটপাতে দোকান বসানো নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় আট/১০টি বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।
সোমবার (২২ নভেম্বর) সকালে সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের ঘোড়াচরা গ্রামবাসী চক মিরাখোর গ্রামে ঢুকে এ হামলা ও ভাঙচুর চালান। এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে চক মিরাখোর গ্রামের মহির উদ্দিন ময়ূর (৫৫) ও হাসিবুল ইসলামের (২৭) অবস্থা গুরুতর। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বাকি আহতদের মধ্যে আয়াত আলী (৩৫), আব্দুল মালেক (৬০), শামছুল হক (৩৫), আব্দুল হাই (৫৪), রাশিদা খাতুন (৪০) ও আছের আলীকে (৩৮) সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া তরিকুল (১৮), নাজমা (৩৮), আবু সামাসহ (৬০) অন্তত আটজন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রোববার (২১ নভেম্বর) বাগবাটি ইউনিয়নের পিপুলবাড়িয়া বাজারে ফুটপাতে দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে চক মিরাখোর গ্রামের আসাদুল ও ঘোড়াচরা গ্রামের কসমেটিকসের দোকানদার রুবেলের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে এ দ্বন্দ্ব দুই গ্রামবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। রোববার রাতেও উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে সোমবার সকালে ঘোড়াচরা গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চক মিরাখোর গ্রামে হামলা চালান। তারা বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লোকজনকে কুপিয়ে আহত করেন। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হন।
বাগবাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, হামলার কথা শুনেছি।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বাজারের ফুটপাতে পণ্য বিক্রির জন্য চৌকি পাতা নিয়ে দ্বন্দের জের ধরে চক মিরাখোর গ্রামে রাতেও একবার হামলার চেষ্টা করেন ঘোড়াচরা গ্রামবাসী। সকালে তারা ফের হামলা চালান এবং বেশ কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জহুরুল ইসলাম (৫৫) নামে ঘোড়াচরা গ্রামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২১
এসআই