সাভার (ঢাকা): ঢাকার ধামরাইয়ে বালিয়া ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে এক যুবককে হাত-পা বেধে মারধরের অভিযোগে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মুজিবর রহমানসহ ৮ জনকে জন্য আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নের পূর্বসূত্রাপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
এর আগে ওই এলাকার ইসরাফিল হোসেন (৩২) নামের এক যুবককে হত্যার উদ্দেশ্যে হাত-পা বেঁধে মারধর করা হয়।
আটককরা হলেন-বালিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মুজিবর রহমান (৪৫), তার ভাতিজা সিয়াম (২০), সূত্রাপুর শান্তি কমিটির সভাপতি আব্দুল মজিদ (৭০), মজিদের ছেলে সামছুল হক (৪৫), তার নাতি সিহাব (১৭), পশ্চিম সূত্রাপুর মসজিদের সভাপতি মজিবর (৭০), রাজন (৩৫), শামীম (২৫), নাছিমা আক্তার (৩২) ও রাশেদা বেগম (২৭)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রতিপক্ষের নির্বাচন করায় ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নের পূর্বসূত্রাপুর এলাকার ইসরাফিল হোসেন (৩২) নামের এক যুবককে হত্যার উদ্দেশ্যে হাত-পা বেধে মারধর করেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানসহ তার কর্মীরা। পরে ঘটনা জানাজানি হলে এলাকাবাসী ইসরাফিলকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তবে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মজিবুর রহমানের লোকজন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাদের ধাওয়া করেন। এতে পরিস্থিতি উত্তেজনার সৃষ্টি হলে ঘটনাস্থল থেকে চেয়ারম্যানসহ তার ৮ কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়াহেদ পারভেজ বলেন, ওই এলাকায় ঝামেলা সৃষ্টি হলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ ৮ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এছাড়া আহত যুবককে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২১
এনএইচআর