ঢাকা: জাতীয় বাজেটে শিশু বাজেট আলাদাভাবে অন্তর্ভুক্ত করা খুবই জরুরি বলে মনে করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে স্পিকারের সঙ্গে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট সৌজন্য সাক্ষাতের সময় তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাতকালে তারা শিশু স্বাস্থ্য, নারী ও শিশু সহিংসতা প্রতিরোধ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জনস্বাস্থ্য বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আক্রান্ত অতি দরিদ্র শিশুদের নিয়ে জাতীয় সংসদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার প্রস্তাব করেন ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট। স্পিকার এ প্রস্তাবে সম্মত হন এবং প্রাথমিক পর্যায়ে এক বছরের জন্য দ্রুত কাজ শুরুর পরামর্শ দেন। এ সময় তিনি দক্ষ জনবল তৈরি করতে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করার জন্য শেলডনকে অনুরোধ করেন।
স্পিকার বলেন, মহিলা ও শিশু শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, মহিলা ও শিশু সহিংসতা প্রতিরোধ করতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে একযোগে কাজ করতে হবে। জাতীয় বাজেটে শিশু বাজেট আলাদাভাবে অর্ন্তভুক্ত করা খুবই জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী শিশুমৃত্যু হার হ্রাস, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, মাতৃমৃত্যু হ্রাস, নারী সহিংসতা দূরীকরণে জাতীয় সংসদের বিএপিপিডি প্রকল্পের আওতায় সংসদ সদস্যরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ জনগণকে অধিকতর সচেতন করতে কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সঙ্গে ইউনিসেফ কাজ করতে পারায় গর্বিত বলে জানান ইউনিসেফ প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট।
তিনি বলেন, মহিলা ও শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য অধিক অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন। এ সময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের জন্য পার্লামেন্টারি ককাস করার জন্য স্পিকারকে অনুরোধ করেন।
এরপর স্পিকারের সঙ্গে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো তার কার্যালয়ে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতকালে তারা করোনা পরিস্থিতি, নারী অধিকার, নারী সহিংসতা প্রতিরোধ এবং লিঙ্গ সমতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২১
এসকে/এনটি