ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

রাতে বিক্রি হচ্ছে পায়রা ও বিষখালী নদীর ইলিশ

জাহিদুল ইসলাম মেহেদী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২১
রাতে বিক্রি হচ্ছে পায়রা ও বিষখালী নদীর ইলিশ ছবি: বাংলানিউজ

বরগুনা: বরগুনায় পায়রা ও বিষখালী নদীর তীরবর্তী এলাকায় ছোট বাজারে রাস্তার পাশে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। স্থানীয় জেলেদের শিকার করা এসব মাছ বিক্রির জন্য রাতে তারা বাজারে নিয়ে আসে।

সোমবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর সরেজমিনে দেখা যায় ভ্রাম্যমাণ দোকানে বিক্রি হচ্ছে এসব মাছ।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাস্তার পাশে এমন তাজা মাছ দেখে অনেকেই নিজেদের সাধ্যমত কিনে নিয়ে যায়। ইলিশগুলো বেশি বড়ও না। আবার জাটকাও না। প্রতি কেজি ইলিশের দাম ৪০০ টাকা। নদ-নদীর এসব তাজা মাছ কেনার জন্য অনেকেই বিকেল থেকে অপেক্ষা করে। বড় ইলিশের দাম কেজি প্রতি ৫২০ টাকা।

মাছ কিনতে আসা আয়লা পতাকাটা ইউনিয়নের মহাসিন বাংলানিউজকে বলেন, সাগরের মাছের তুলনায় স্থানীয় বাজারের পায়রা ও বিষখালী নদীর মাছ সুস্বাদু। তাই একটু বেশি করে কিনছি। নদীতে তেমন মাছ নেই, যে পরিমাণ মাছ জেলেরা  শিকার করে তা নিয়ে বরগুনা বাজার পর্যন্ত গেলে তাদের লাভ হয় না। তাই মাছ ধরে সরাসরি পুরাকাটা ফেরিঘাটে বসেই বিক্রি করে।

এক মাছ বিক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, আমরা জেলেদের কাছে থেকে মাছ সংগ্রহ করে সন্ধ্যার পরে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করি। সাগরের মাছের তুলনায় আমাদের স্থানীয় বাজারের মাছ সতেজ হওয়ার কারণে ক্রেতার আগ্রহ বেশি থাকে। বিভিন্ন যায়গা থেকে লোকজন আসে এখানে। তাজা মাছের চাহিদা থাকায় ২-৩ ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়। তবে নদীতে মাছ তুলনামূলক কম। এত অবরোধ- নিষেধাজ্ঞার পরেও ইলিশ পাইনা।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বাংলানিউজকে বলেন, বরগুনার প্রধান নদীগুলোর মধ্যে পায়রা একটি। তবে সব জায়গার মত পায়রায়ও ইলিশ কম পাওয়া যাচ্ছে। জেলেদের অসচেতনতার জন্য তেমন ইলিশের দেখা মিলছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২১
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।