ফেনী: ফেনীর দাগনভূঞার সিন্দুরপুরে এক নারীকে (৩৫) গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দাগনভূঞা থানায় ৪ জনকে আসামী করে মামলা করেছে ধর্ষিতা।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহমেদ মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সকালে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মামলার অন্য আসামীরা হলো ওই এলাকার পেয়ার মেম্বারের ছেলে ওমর ফারুক (২২), কামাল উদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেন হৃদয় (২২) ও খায়েজ আহম্মদের ছেলে মো. সালাউদ্দিন (২৪)। এছাড়া আরও ২৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, অভিযোগের পর এক নম্বর আসামী মেহেদী হাসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে ধর্ষিতা উল্লেখ করেন, রোববার (২১ নভেম্বর) দাগনভূঞা থানাধীন ১নং সিন্দুরপুর ইউপির সিন্দুরপুরের সাদেকপুরে সিদ্দিক সওদাগরের বাড়ির পেছনে খুরশিদ আলমের আম গাছ বাগানে গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।
ধর্ষিতা অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন বিকেলে বিকাশ অ্যাকাউন্ট হতে টাকা উত্তোলনের জন্য সিন্দুরপুর বাজারের উদ্দেশ্যে তার বড় বোনের বাড়ি হতে বের হন। বাজারে প্রবেশ করার পথে পেছন থেকে ৩ নম্বর আসামি মোবারক হোসেন হৃদয় ডাক দেয় এবং দাঁড়িয়ে থাকা একটি সিএনজির সামনে যাওয়া মাত্র জোরপূর্বক ট্যাক্সিতে তুলে নিয়ে যায়।
এ সময় চিৎকার করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এরপর কিছুক্ষণের মধ্যে অন্য তিন আসামিসহ আরও দুইতিনজন এসে শারীরিক সম্পর্ক করতে বলে। রাজি না হলে আসামী মেহেদী হাসান ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং জোরপূর্বক গণধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে আনুমানিক রাত ৯টায় এই বিষয়ে কাউকে কিছু বললে বিপদ হবে বলে আসামিরা হুমকি দেয় এবং ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ধর্ষিতার পরিবার সূত্র জানায়, তাৎক্ষণিক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর নবীকে জানালে তিনি পুলিশকে জানাতে পরামর্শ দেন। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুর নবী জানান, গণধর্ষণের কথা শুনেছি। ধর্ষিতার স্বজনরা জানান, ধর্ষণের পর তার কাছে থাকা ছয় হাজার টাকা আসামিরা ছিনতাই করে। ধর্ষিতা স্বামী পরিত্যক্তা এবং তার স্কুল পড়ুয়া একটি মেয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২১
এসএইচডি/এসআইএস