ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আমন সংগ্রহ অভিযান সফল করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২১
আমন সংগ্রহ অভিযান সফল করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার

ঢাকা: সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে আমন সংগ্রহ অভিযান সফল করতে খাদ্য বিভাগের মাঠ কর্মকর্তাদের আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

তিনি বলেন, কৃষকের আমন ফসল উৎপাদন ভালো হয়েছে।

সরকার আমন ধান ও চালের যৌক্তিক দামও নির্ধারণ করেছে।

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) সচিবালয় থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে অভ্যন্তরীণ আমন সংগ্রহ অভিযান ২০২১-২২ এর রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যে সকল জেলায় নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকিউরমেন্ট শতভাগ অর্জিত হবে, প্রয়োজনে তাদের আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে। যে সকল জেলায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে না তাদের জবাবদিহি করতে হবে।

উত্তরাঞ্চলকে শষ্য ভান্ডার উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অঞ্চল থেকে বেশি ধান সংগ্রহের চেষ্টা করতে হবে। ধান-চাল সংগ্রহকালে কোনো কৃষক কিংবা মিল মালিক যেন হয়রানির শিকার না হয় সেটিও নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।

মিল মালিকদের উদ্দেশ্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে ধান চালের অভাব নেই। বিগত সময়ে ২৯ লাখ মেট্রিক টন আমদানির অনুমতি দিলেও আমদানি হয়েছে ৮ লাখ মেট্রিক টন। এ সময়ে দেশে চালের অভাব হয়নি। এতে প্রমাণ হয় চালের যথেষ্ঠ মজুত থাকা সত্ত্বেও কেউ কেউ চালের মজুদ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।

তিনি বলেন, মিল মালিকদের শুধু লাভের কথা চিন্তা করলেই হবেনা। ভোক্তার দিকেও নজর রাখতে হবে। এ সময় তিনি মিল মালিকদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন‍ ‘ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ’ গড়তে সহযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

জানুয়ারি মাসের মধ্যে আমন সংগ্রহ সম্পন্ন করতে খাদ্য বিভাগের মাঠ কর্মকর্তাদের তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আবহাওয়া অনুকূলে আছে। এখনই প্রকিউরমেন্ট জোরদার করতে হবে। কোনো ভাবেই গাছাড়া ভাব বরদাস্ত করা হবে না।  

অবৈধ মজুতদারীর বিরুদ্ধে মনিটরিং জোরদার হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ফুড গ্রেড লাইসেন্স ছাড়া কেউ খাদ্য শষ্য মজুদ করতে পারবে না। ফুড গ্রেড লাইসেন্সধারীকে পাক্ষিক ক্রয় বিক্রয়ের প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- খাদ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত সচিব খাজা আব্দুল হান্নান ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর।

খাদ্য অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের  বিভাগীয়  কমিশনার, জেলা প্রশাসক, খাদ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মিল মালিকরা সভায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২১
জিসিজি/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।