ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি বলেছেন, সড়কের নৈরাজ্য বন্ধ করতে হবে। সড়কে পরিবহন শ্রমিকরা যাত্রীদের সঙ্গে যে আচরণ করছেন, তা মেনে নেওয়া যায় না।
মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
জিএম কাদের বলেন, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ার অজুহাতে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বাস ভাড়া যতটুকু বাড়িয়েছে, শ্রমিকরা যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করছেন তারচেয়েও বেশি। এতে প্রতিদিন বাসে চড়ে গন্তব্যে যেতে হেনস্তা হচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা। প্রতিবাদ করলে সইতে হচ্ছে অবর্ণনীয় নির্যাতন। আবার ছাত্রদের কাছ থেকে হাফ ভাড়ার পরিবর্তে আদায় করা হচ্ছে পুরো ভাড়া। ছাত্রী ও নারীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করছেন শ্রমিকরা।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, গত ৩ নভেম্বর রাত থেকে ডিজেল ও কোরোসিনের দাম লিটার প্রতি ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৮০ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। সঙ্গে সঙ্গে বিনা নোটিশে পরিবহন ধর্মঘটের মাধ্যমে কোটি কোটি যাত্রীকে হয়রানি করছে সড়ক পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। অথচ বিনা নোটিশে ধর্মঘট ডাকার অধিকার কারো নেই। এরপর সরকারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বাড়ানো হয় পরিবহনের ভাড়া। বিষয়টি সাধারণ মানুষের অনেকে ‘সাজানো নাটক’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
জিএম কাদের বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। কিন্তু তেলের দাম কমানোর কোনো চিন্তা সরকারের আছে বলে মনে হয় না। আবার তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবহন ব্যয় বাড়ার অজুহাতে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে আকাশচুম্বী হয়ে যাচ্ছে। এ কারণে সাধারণ মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, তেলের দাম কমাতে সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পাশাপাশি গণপরিবহনের ভাড়া নিয়ে সড়কের নৈরাজ্য কমাতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে ছাত্রদের হাফ ভাড়াও।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২১
এসএমএকে/এনএসআর