ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘নোনা জলের কাব্য’ সবার আগে দেখলেন কুয়াকাটার জেলেরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২১
‘নোনা জলের কাব্য’ সবার আগে দেখলেন কুয়াকাটার জেলেরা

পটুয়াখালী: তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা ও পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতে প্রথম জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ‘নোনা জলের কাব্য’ বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো প্রদর্শিত হয়েছে। উপকূলের জেলেদের জীবনযাত্রার ওপর নির্মিত সিনেমায় বেশির ভাগই অভিনয় করেছেন স্থানীয় জেলে পরিবারের সদস্যরা।

এই সিনেমাটি ২৬ নভেম্বর এটি বাংলাদেশে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। তবে, তার আগেই সিনেমাটি দেখলো যাদের জীবন নিয়ে গড়া এই সিনেমা সেই গঙ্গামতি জেলেপাড়া গ্রামের সাধারণ মানুষ।

সোমবার (২২ নভেম্বর) রাতে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার ধুলাস্বার ইউনিয়নের গঙ্গামতির চর নামক গ্রাম ঘেঁষা সমুদ্রসৈকতে পুরো সিনেমাটি দেখানো হয়। এই গঙ্গামতি গ্রামের জেলেদের জীবনচিত্র ও তাদের অভিনয় বড় পর্দায় নিজেরা দেখে অনেক আনন্দিত। সিনেমাটি দেখতে শত শত মানুষ ভিড় জমায়।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।  

এ সময় সিনেমাটির পরিচালকসহ উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী তাসনোভা তামান্না ও বেশ কয়েকজন কলাকৌশলী।

রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত বলেন, ‘আমি ২০০৮ সালে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম, তখন বন্ধুদের নিয়ে কুয়াকাটা ঘুরতে আসছিলাম। তখন কুয়াকাটা সৈকতের জিরোপয়েন্ট ছেড়ে প্রায় এক মাইল হেঁটে ভেতরে চলে আসি। সময়টা ছিল সিডর আঘাত হানার তিন মাস পর।

তিনি আরও বলেন, ‘সিনেমাটি নিয়ে আমি ৭-৮ বছর একরকম সংগ্রাম করছি। সর্বশেষ ২০১৮ সালে এই গ্রামের মানুষের সহযোগিতা ও ভালোবাসায় আড়াই মাসের চেষ্টায় শুটিং শেষ করি। আমি ঢাকা থেকে মাত্র ৭-৮ জন অ্যাক্টর এনেছিলাম বাকি অনেক কাজ এই গ্রামের নারী-পুরুষ ও শিশুরা করেছে সেটা ক্যামেরার সামনে ও পেছনে।  

দেশের সমুদ্র উপকূলবর্তী প্রান্তিক জেলেদের দৈনন্দিন জীবনযাপন, আবহাওয়ার প্রতিকূলতার মুখে টিকে থাকার লড়াই, জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তবতা এবং তাদের সামাজিক রীতিনীতি ও সংস্কার এই চলচ্চিত্রের মূল বিষয়। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, তিতাস জিয়া, এবং তাসনোভা তামান্না। আবহ সংগীত পরিচালনা করেছেন অর্ণব।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন বলেন, আজকে এই সিনেমার মধ্যে জেলেদের বাস্তব চিত্র তুলে ধরার জন্য পরিচালককে ধন্যবাদ জানাই। জেলেদের দুঃখ দুর্দশা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, এই প্রত্যন্ত এলাকার চিত্র এখানে ফুটে উঠেছে। আমরা জেলেদের বর্তমানে যে সমস্যাগুলো রয়েছে তা নিয়ে কাজ করবো, যাতে জেলেরা ভালোভাবে জীবন কাটাতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।