ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

পরাজিত প্রার্থীর সমর্থককে চুড়ি পরানোর অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২১
পরাজিত প্রার্থীর সমর্থককে চুড়ি পরানোর অভিযোগ সংবাদ সম্মেলন করছেন মো. মোশারেফ শেখ

বাগেরহাট: বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার কচুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১, ২ ও ৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের পরাজিত প্রার্থী সেলিনা বেগম সেলির সমর্থনকারী মো. মোশারেফ শেখের (৭১) হাতে চুড়ি পরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।  

স্থানীয় ইউপি সদস্য বালী শোকরানা রব্বানি আজাদের নির্দেশে ইকতিয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে।

 

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন কচুয়া উপজেলার গিমটাকাঠি এলাকার মো. মোশারেফ শেখ।  

এসময় পরাজিত প্রার্থী সেলিনা বেগম সেলি ও মো. মোশারেফ হোসেনের ছেলে মো. রেজাউল শেখ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত ইকতিয়ার হোসেন।

মো. মোশারেফ শেখ বলেন, ২০ নভেম্বর অনুষ্ঠিত কচুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আমি ১, ২ ও ৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য প্রার্থী সেলিনা বেগম সেলির সমর্থনকারী ছিলাম। আমার সমর্থিত প্রার্থী তালগাছ প্রতীকের সেলিনা বেগম সেলি ভোটে হেরে যান। কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক স্থানীয় ইউপি সদস্য বালী শোকরানা রব্বানি আজাদের সমর্থিত প্রার্থী বই প্রতীকের মোহিনি বেগম জয় লাভ করেন। পরাজিত প্রার্থীর হয়ে নির্বাচন করায় সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে বালী শোকরানা রব্বানি আজাদের নেতৃত্বে হাজরাখালি গ্রামের হানিফ খানের ছেলে ইকতিয়ার হোসেন, শহিদুল শেখসহ ১৫-২০ জন লোক আমার বাড়িতে এসে আমাকে হুমকি-ধমকি দেয়। একপর্যায়ে আমার পুত্রবধূ, স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যদের সামনে ইকতিয়ার হোসেন তার পকেট থেকে একটি চুরি বের করে আমার হাতে পরানোর চেষ্টা করেন। আমার হাতের কবজি মোটা হওয়ার কারণে চুড়িটি পুরোপুরি প্রবেশ করাতে পারেনি। আমাকে বাড়ি থেকে বের না হওয়ার হুমকি দিয়ে তারা চলে যান। এরপর তারা স্থানীয় বিভিন্ন মোড় ও বাজারে গিয়ে বলে মোশারেফ শেখের হাতে চুড়ি পরিয়ে দিয়েছি। এই অপমান সহ্য করব কি করে। এখন আমি এলাকায় মুখ দেখাব কি করে এই বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন এই বৃদ্ধ।

পরাজিত প্রার্থী সেলিনা বেগম সেলি বলেন, নির্বাচনের আগে থেকে ১ নম্বর ওয়ার্ডের পুরুষ সদস্য ও সদস্য প্রার্থী বালী শোকরানা রব্বানি আজাদ আমাকে ও আমার সমর্থকদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়েছে। আমার একাধিক সমর্থকদের মেরেছেও। মঙ্গলবার সকালেও গিমটাকাঠি গ্রামের সাহাপাড়া এলাকার খোকন সাহা, পলাশী রানী সাহা ও সুশান্তকে মারধর করেছে। নির্বাচনে আমাকে ভোট দেওয়াই কাল হয়েছে এসব মানুষের।
মো. মোশারেফ শেখের ছেলে মো. রেজাউল শেখ বলেন, আমার বৃদ্ধ বাবাকে এভাবে অপমান অপদস্ত করল এরকি কোনো বিচার নেই। আমার বাবা রাতে কয়েকবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছেন। এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনার আমরা কঠিন শাস্তি চাই।

কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক স্থানীয় ইউপি সদস্য বালী শোকরানা রব্বানি আজাদ বলেন, এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা আমার নির্দেশে ঘটেনি। আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার জন্য এই নাটক সাজানো হয়েছে। যদি এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে থাকে আমি তার তীব্র নিন্দা জানাই। দোষীদের শাস্তি দাবি করি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা,  নভেম্বর ২৩, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।