ঢাকা: বর্তমান সরকারের ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে বিটিআরসিকে মেরুদণ্ড উল্লেখ করে সংস্থার চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলছেন, একটি ষড়যন্ত্রের কারণে বারবার মামলা হচ্ছে।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর রমনায় বিটিআরসি ভবনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জমান খান কামাল এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে এ কথা বলেন তিনি।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আমার বিবেচনায় একটি ষড়যন্ত্র যেন কোথাও হচ্ছে বলে মনে করছি। আপনার (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) উপস্থিতিতে বলতে চাই, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এখানে উপস্থিত আছেন।
তিনি বলেন, আমি বিটিআরসি চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদান করার পর থেকেই যতগুলো কার্যক্রম গ্রহণ করেছি, এটা আপনারা জানেন। তারপরও আমি একটা জিনিস লক্ষ্য করেছি বিটিআরসিকে কেবলই আদালতের কাঠগড়ায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একটা বিশেষ মহল তৎপর আছে।
শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মিণের যে কর্মসূচিটি আজকে একেবারেই চূড়ান্ত হয়ে গেছে, তারপরও যাতে ব্যাহত হয় কর্মকাণ্ড, সে ব্যাপারে একটি প্রক্রিয়া একটি বিশেষ মহল চালাচ্ছে বলে আমার ধারণা। এ কারণেই কথাটা বললাম, আপনি লক্ষ্য করবেন বাংলাদেশে অনেকগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠান রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান কাজ করে। বিটিআরসি ছাড়া অন্য কোনো রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একটা মামলা এ পর্যন্ত হয় নাই। কিন্তু বিটিআরসির বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে অনবরত, একটার পর একটা।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আমি মনে করি, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য ব্যাকবোন (মেরুদণ্ড) হচ্ছে বিটিআরসি। সেই বিটিআরসিকে যদি মামলা-মোকদ্দমায় ব্যস্ত রাখা যায় তাহলে তারা কাজে অ্যাটেনশন দিতে পারবে না, দ্যাট ইজ দ্য কন্সপাইরেসি, আমি মনে করি।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আপনার (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ অন্য যারা আমাদের আছেন, সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করব, এই ষড়যন্ত্র যেন থামিয়ে দেওয়া যায়।
এ বিষয়ে সীমান্ত এলাকায় টাওয়ার স্থাপনে প্রতিবন্ধকতার তথ্য তুলে ধরেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
বিটিআরসি অনেক বেশি কাজ করছে জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, যেটার ফল জনগণ পেতে খুব বেশি দেরি হবে বলে মনে হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২১
এমআইএইচ/জেএইচটি