ঢাকা: প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে মিরপুরের বিভিন্ন সড়ক অবরোধ রাখার পর সরে গেলেন গার্মেন্টস শ্রমিকরা। দাবি আদায় না হলে পুনরায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে তারা সড়ক থেকে সরে যান।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে মিরপুর-১৩ নম্বর থেকে দাবি আদায়ের আল্টিমেটাম দিয়ে বিক্ষোভ স্থগিত করেন।
শ্রমিক নেতা আরিফুর রহমান জানান, আমরা আজকের মতো আন্দোলন স্থগিত করেছি। দাবি না মানলে শ্রমিকরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, বিক্ষোভরত গার্মেন্টস শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন। দীর্ঘ ৫-৬ ঘণ্টা পর মিরপুরের বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে রাজধানীর মিরপুর-১৩ নম্বর এলকায় সড়কে জড়ো হতে থাকেন আশেপাশের গার্মেন্টস শ্রমিকরা। পরে সকাল ১০ টার দিকে একে একে মিরপুর-১৩, মিরপুর -১০, কাফরুল, ইব্রাহিমপুর এলকার সড়ক অবস্থান করে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা।
এদিকে, বিক্ষোভের মধ্যেই মিরপুরে ট্রাফিক পুলিশের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় আন্দোলনকারীরা। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা যায়, কয়েকদিন ধরেই এ এলাকার শ্রমিকরা হাজিরা ভাতা বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায়ে বিচ্ছিন্নভাবে বিক্ষোভ করে আসছিলেন। কিছু দাবি মেনে নেওয়া হলেও মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) বিক্ষোভের সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দুই গার্মেন্টস শ্রমিককে মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই মারধরের প্রতিবাদে এবং বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে বুধবার (২৪ নভেম্বর) সকাল থেকে আবারও রাস্তায় নেমে আসে।
এর আগে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, শ্রমিকদের এই বিক্ষোভের পেছনে পলিটিক্যাল ইন্ধনও থাকতে পারে। কারণ আন্দোলরতদের যারা গাইড করছেন তারা অনেকে বাইরের বিভিন্ন ফেডারেশনের লোকজন রয়েছেন। তারা কেউ শ্রমিক নয় কিন্তু উস্কানি দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন >>>
শ্রমিক বিক্ষোভ থেকে দুটি মোটরসাইকেলে আগুন
বেতন বৃদ্ধি-হামলাকারীদের বিচারে আন্দোলন চলবে
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২১।
পিএম/কেএআর