ঢাকা: ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান বলেছেন, বাংলাদেশের কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রতি তুরস্কের পক্ষপাতিত্ব নেই। তুরস্ক বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে শক্তিশালীতে বিশ্বাসী।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকার তুরস্ক দূতাবাসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন। ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (ডিকাব) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত।
বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলে জামাতে ইসলামী নেতাদের প্রতি কেন তুরস্ক পক্ষপাতিত্ব করেছিল- এমন প্রশ্নের উত্তরে রাষ্ট্রদূত বলেন, এটা একটি ভুল বোঝাবুঝি। বাংলাদেশের কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রতি তুরস্কের পক্ষপাতিত্ব নেই। আমরা সরকারের সঙ্গে কাজ করি। তুরস্ক বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে শক্তিশালীতে বিশ্বাসী।
তিনি বলেন, তুরস্কে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চিঠি দিয়েছিলেন। আর রোহিঙ্গা সংকট শুরু হলে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি বাংলাদেশে এসেছিলেন। এটাই দুই দেশের সম্পর্কে নতুন গতি এনেছে।
মুস্তাফা ওসমান তুরান জানান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রিত। তবে সফরের সময় এখনো চূড়ান্ত হয়নি। সময় ও সুযোগ মিললেই তিনি আসবেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে মুস্তাফা ওসমান তুরান বলেন, তুরস্ক সামরিক সরঞ্জাম তৈরি করে থাকে। বাংলাদেশের চাহিদা অনুযায়ী এ বিষয়ে সহযোগিতা দেয়া যেতে পারে।
আরেক প্রশ্নের উত্তরে তুর্কি রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তুরস্ক বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। আমরা এই সংকটের সমাধান চাই।
মুস্তাফা ওসমান তুরান বলেন, তুরস্ক তার এশিয়া নীতি তৈরি করছে। সেখানে বাংলাদেশকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে তুরস্ক।
তুর্কি রাষ্ট্রদূত বলেন, ইন্দো প্যাসিফিক কৌশলে - আইপিএস'য়ে একদিকে চীন অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মত বড় শক্তি রয়েছে। এখানে বাংলাদেশ ও তুরস্কের অবস্থান নিরপেক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২১
টিআর/কেএআর