রাজশাহী: রাজশাহীর ঐতিহাসিক বাবলা বন গণহত্যা দিবস আজ বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর)। এই বেদনাবিধুর দিনে একাত্তরের বিজয়ের প্রাক্কালে রাজশাহীর ১৭ স্বাধীনতাকামী বীর সন্তানকে পাকিস্তানি দোসরদের সহায়তায় তুলে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
বিজয়ের পর ৩১ ডিসেম্বর রাজশাহীর পদ্মাচর শ্রীরামপুর এলাকার থেকে তাদের দড়িবাধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাদের মরদেহ দেখতে সেদিন বোয়ালিয়া ক্লাব চত্বর পদ্মার পাড়ে জনতার ঢল নামে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও সরকারিভাবে বাবলা বন গণহত্যা দিবস পালন করা হয় না।
রাজশাহী ৭ নম্বর সেক্টরের ৪ নম্বর সাব সেক্টর কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমান রাজা বাংলানিউজকে জানান, পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ সদস্য নাজমুল হক সরকার, সরকারি কর্মকর্তা আবদুল হক সরকার, অধ্যাপক মীর আব্দুল কাইয়ুম, শামসুল ইসলাম ঝাটু, অ্যাডভোকেট সুরেশ পাণ্ডে ও বীরেন সরকারসহ শত শত বাঙালি এবং বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়েছিল ‘টি-গ্রোয়েন’ সংলগ্ন এই বাবলা বন বধ্যভূমিতে।
মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমান রাজা জানান, ওই বধ্যভূমি থেকে একই দড়িতে বাঁধা ১৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছিলেন তারা। এমন হত্যাযজ্ঞের নিদর্শন রয়েছে প্রতিটি বধ্যভূমিতেই। কিন্তু বাবলা বনের মত মহানগরীর অন্য বধ্যভূমিগুলোও সংরক্ষণ করা হয়নি।
রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধের ‘টি-গ্রোয়েন’ লাগোয়া বাবলা বন বধ্যভূমিতে এত দিন ছিল না কোনো স্মৃতিসৌধ। শুধু একটি স্মৃতিফলকই সাক্ষ্য দিত কলঙ্কিত সেই গণহত্যার। তবে গেল বছর সেখানে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে একটি স্মৃতিসৌধ।
বাংলাদেশ সময়: ১১২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২১
এসএস/কেএআর