ঢাকা: চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য সরকার যেটা করেছে, তার সুফল আগামী ১২ বছরে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে আইনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। বুধবার সংসদে এ বিশেষ আলোচনা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বাস্থ্যখাত প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি (সংসদ সদস্যরা) স্বাস্থ্যের অব্যবস্থার কথা বলেছেন। ওনারা ২৬ বছর শাসন করেছেন, আমি শাসন করেছেন বলবো, সেবা করেন নাই। কী করেছিলেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যে, মানুষ বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাবেন না? ওনারা শুধু দেখেন পশ্চিম দিক, কাবা শরিফের আগে আর আমাদের পরে সেই পশ্চিম দিক। ওনারা বলছেন ওনাদের নেত্রীকে এখনই বিদেশে পাঠাতে হবে। চিকিৎসা করাতে হবে বিদেশে। আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা খুব খারাপ। খালেদা জিয়া তিন তিন বার হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। আমি তাদের বলেছি, বিদেশ থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসা করাতে পারেন। ওনারা সেই লাইনে হাঁটবেন না।
আইনমন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা ব্যবস্থা কোকো জাহাজ না, রাতারাতি হয়ে যাবে। এর জন্য ভৌত অবকাঠামো দাঁড় করানোর প্রয়োজন হয়, অনেক কিছুর প্রয়োজন হয়। সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করেছেন। আগামী ১২ বছরে তার সুফল দেখবেন। তারা বলেন, তারা আইনের শাসন দেখছেন না। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে, জেল হত্যার বিচার হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে—এগুলো তো আইনের শাসন না। তারা অনির্বাচিতের কথা বলেন, আরপিওতেই বলা আছে, যে দিন পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন তার পর যদি কেউ প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকে তাহলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২১
এসকে/এমজেএফ