পিরোজপুর: পিরোজপুরের কাউখালীতে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৯ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) উপজেলার সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রঘুনাপুর গ্রামের বেল্লাল খানের বাড়ির সামনে।
জানা গেছে, ওই ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আশিষ মজুমদার (মোরগ মার্কা) ও শংকর দাসের (তালা মার্কা) সমর্থকদের মধ্যে ওই সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় আশিষ কুমার মজুমদারের কর্মী প্রভাষ মজুমদার (৪২), দুলাল শেখ (৩০), তানভীর হাওলাদার (১৮), সোহেল শেখ (২৫) ও শংকর দাসের কর্মী আ. জলিল মোল্লাকে (৫২) আটক করেছেন পুলিশ।
মেম্বার প্রার্থী শংকর দাস জানান, তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আশিষ মজুমদার নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকে তাকে (শংকর) বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও প্রচারণায় বাঁধা দিয়ে আসছে। এ বিষয়ে থানাসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে একাধিকবার লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গত বুধবার (২৪ নভেম্বর) রাতে স্থানীয় ফনি ভুষণ দাসের বাড়িতে একটি অনুষ্ঠানে বসে আমার ওপর হামলা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রচারণায় বের হয়ে ওই ওয়ার্ডের বেল্লাল খানের বাড়ির কাছে পৌঁছলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আশিষ মজুমদারের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। হামলায় আমিসহ আমার কর্মী মহিবুল্লাহ শেখ (২০), তানিয়া বেগম (৩০), ফাইজুল হক শিমুলকে (২৪) পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে।
এমন অভিযোগ অস্বীকার করে মোরগ মার্কার প্রার্থী আশিষ মজুমদার বলেন, ঘটনার সময় আমি কাউখালী উপজেলা সদরে ছিলাম। মেম্বার প্রার্থী শংকর দাসের কর্মী তানিয়া বেগম আমার কর্মী মনির হাওলাদারকে অকারণে জুতা পেটা করে। এ নিয়ে সংঘর্ষ বাঁধে। এই হামালায় আমার কর্মী আলী শেখ (৩৭), হেলাল খান (৩২), দলু মোল্লা (২৫), কালাম মাঝি (২৮) ও মনির হাওলাদার আহত হন।
কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বনি আমিন জানান, দুই মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০২১
কেএআর