ঢাকা: বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) বিসিএস কর্মকর্তা ফোরাম (জুবফ)।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফার্মগেটস্থ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে নাটক মঞ্চায়ন ও আলোচনাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে জুবফ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি এ কে এম এনামুল হক শামীম।
অনুষ্ঠানে জাবির প্রাক্তন ছাত্র জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের লিখিত বার্তা পাঠ করেন। সভাপতিত্ব করেন জাবির প্রাক্তন ছাত্র সাবেক সচিব মনোয়ার আহমেদ।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য অনেক আগে থেকে গভীর চলছিল উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি স্পষ্ট করতে ১৯৭৪ সালের ডিসেম্বরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের কথা স্মরণ করবো, জিয়াউর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার পর সম্মেলন কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন, তখন আমি বকুলতলায় বাদাম খাচ্ছিলাম।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তিনি (জিয়াউর রহমান) যখন বকুল তলায় আসেন তখন সেখানে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় তার (জিয়ার) নেতৃত্বের কথা স্মরণ করে তাকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, আপনি (জিয়া) সিএনসি পদের যোগ্য। আমরা ভাবছিলাম আপনি পাবেন। জিয়াউর রহমান সব শুনছিলেন এবং গাড়ির দরজা বন্ধ করার সময় জবাবে বলেন, অপেক্ষা করুন এবং দেখুন।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর রাজাকাররা দেশের রাজনীতিতে ফিরে আসে এবং তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা ওড়ে।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ফিরিয়ে এনে ফাঁসি দেওয়ার চেষ্টা চলছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করার আশা নিয়ে দেশে ফেরেন। অবশেষে এ বিচারকাজ শেষ হয়। আমরা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের ফাঁসি দিয়েছি। আর যারা এখনও পালিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি দেওয়ার চেষ্টা করছি।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জুবফ সভাপতি ও বাংলাদেশ পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. কে এইচ মাহিদ উদ্দিন স্বপন, কোষাধ্যক্ষ রশিদ উদ্দিন ভূঁইয়া, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ও প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সেক্রেটারি এম এম ইমরুল কায়েস।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জুবফ সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ডেপুটি কমিশনার আবদুল আহাদ।
আলোচনা অনুষ্ঠানের আগে ইমরুল কায়েসের তত্ত্বাবধানে ‘বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে প্রকাশিত স্যুভেনিয়র এবং ‘৫০ বছরের গর্ব ও ঐতিহ্য’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রকাশনা মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
এর আগে সন্ধ্যায় বাংলাদেশ পুলিশ নাট্যদল ‘কার্সড আগস্ট’ শিরোনামে একটি নাটক মঞ্চস্থ করে। নাটকটির নাট্যকার ও পরিচালক নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ পরিদর্শক এমডি জাহিদুর রহমান এবং এটির পরিকল্পনায় ছিলেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২১
এমইউএম/আরবি