শরীয়তপুর: শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সদস্য সদ্য বিজয়ী চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সমর্থকদের হামলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক আব্দুর রাজ্জাক মোল্লাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে জানাজা নামাজ ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১১ নভেম্বর শরীয়তপুর সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের (নৌকা) চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন আসমা আক্তার। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (আনারস) আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। নির্বাচনে বিজয়ী হন আনোয়ার হোসেন। ভোটের আগে ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের চরপাতাং পাকার মাথা এলাকায় নির্বাচনী ক্লাবে ১০ থেকে ১৫ জন আসমা আক্তারের সমর্থকরা বসে ছিলেন। ওই সময় বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ারের সমর্থকরা ক্লাবের সামনের সড়ক দিয়ে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এক পর্যায়ে আনোয়ার হোসেনের কর্মী-সমর্থকরা আওয়ামী লীগের সমর্থক আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা, আক্তার মোড়ল (৪৫) ও বাবু মোল্লাকে (৩০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন। এ সময় নৌকার একটি ক্লাবঘর, তিনটি মোটরসাইকেল, কয়েকটি দোকানঘর ভাঙচুর এবং তাজুল মোল্লার দুটি ঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। পরদিন ৭৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে পালং মডেল থানায় একটি মামলা করেন আসমার সমর্থক মনির মোড়ল। মামলার পরপরই ৮ আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর গত শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আহত আব্দুর রাজ্জাক।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে নিজ এলাকায় জানাজা শেষে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। এঘটনায় নতুন করে রোববার মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আসমা আক্তার।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বিজয়ী চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, দোষতো আমাদেরই দেবে। কারণ আমরা তাদের বিপক্ষে ছিলাম। আসলে রাজ্জাক মোল্লার ঘটনায় আমরা জড়িত নই।
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী পরাজিত আসমা আক্তার বলেন, রাজ্জাক মোল্লাকে আনোয়ার হোসেন ও তার লোকেরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমরা নতুন করে মামলা করবো।
এ ব্যাপারে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যার হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছিল। আমরা আটজন আসামিকে গ্রেফতারও করেছিলাম। এখন হত্যা মামলা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০২১
কেএআর