রাজশাহী: ভাতিজার বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ায় চাচা নাজিম উদ্দিন শাহ পিন্টুকে (৪৮) কুপিয়ে হত্যা করলো ভাতিজা নাসির উদ্দিন।
রোববার (২৮ নভেম্বর) সকালে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার সিন্দুরী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নাজিম উদ্দীন শাহ পিন্টু ওই গ্রামের ময়েজ উদ্দিনের ছেলে। এছাড়া ঘাতক নাসির উদ্দিন তার ভাই নাজির উদ্দিনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার জের ধরে প্রথমে চাচার পথ আগলে ধরে ভাতিজা। এ সময় চাচা-ভাতিজার মধ্যে কথা বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ভাতিজার হাতে থাকা হাসুয়া দিয়ে চাচার ঘাড়ে কোপ দেয় নাসির। এতে গলাকেটে ঘটনাস্থলেই নাজিমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা এসে ভাতিজাকে নাসিরকে হাসুয়াসহ হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে থানায় খবর দেওয়া হয়।
এদিকে খবর পেয়ে মোহনপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নাসিরকে আটক করে। এ সময় আলামত হিসেবে রক্তাক্ত হাসুয়াটিও জব্দ করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, চাচা নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে নাসিরদের মধ্যে জমি নিয়ে আগে থেকেই পারিবারিকভাবে বিরোধ চলে আসছিল। এজন্য তারা পাশাপাশি বসবাস করলেও কেউ কারো সঙ্গে কথা বলত না।
এছাড়া নাসির একটি মামলার আসামি ছিল। আর নাজিম উদ্দিন ওই মামলার সাক্ষী ছিলেন। গেল কয়েক দিন আগে আদালতে ওই মামলায় ভাতিজার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন নাজিম। এ নিয়ে নাসিরের মধ্যে আক্রোশ আরও বেড়ে যায়। এ ঘটনার জের ধরে সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
রাজশাহীর মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মূলহোতা নাসিরকে হাসুসহ আটক করা হয়েছে। নিহতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে। প্রক্রিয়াটি শেষ হলে নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
এ ঘটনায় হত্যা মামলা হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২১
এসএস/এনএইচআর