ঢাকা: ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রক্তের সম্পর্ক—পররাষ্টমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে সমালোচনা করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ।
রোববার (২৮ নভেম্বর) জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত টেরিটোরি ওয়াটার অ্যান্ড মেরিটাইম জোন-২০২১ বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান তিনি।
বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনের বক্তব্যের সময় অন্যান্য সংসদ সদস্যরা আপত্তি ও প্রতিবাদ জানান। এরপর হারুনের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিরোধীদল জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন।
হারুনুর রশিদ তার বক্তব্যে বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের রক্তের সম্পর্ক। আপনি এটা কেন বলবেন, এটা ঠিক না। এটা প্রত্যাহার করেন। ভারতের সঙ্গে এত রক্তের সম্পর্ক, বন্ধুত্ব, স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক তাহলে সীমান্ত হত্যা বন্ধ হচ্ছে না কেন। সমুদ্রসীমা অর্জন নিয়ে আমরা বিজয় উৎসব করেছিলাম, ভারত জাতিসংঘে ইতোমধ্যে আপত্তি জানিয়েছে সমুদ্রসীমা নিয়ে। মিয়ানমার মানছে না। যাদের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক তারা রোহিঙ্গা নিয়ে আমাদের পাশে নেই। ভারত আপনার পাশে নেই।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে কথা বলা হয়েছে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, কীভাবে পাকিস্তান হত্যা-নির্যাতন, নারী ধর্ষণ, আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিল। আমরা তখন ভারতে যাই। ভারত যদি আমাদের প্রশিক্ষণ না দিতো, অস্ত্র না দিতো, কীভাবে আমরা যুদ্ধ করতাম? তাই ভারতের সঙ্গে আমাদের রক্তের সম্পর্ক। একাত্তরে পাকিস্তানের চেহারা তারা দেখিনি তাই তাদের এতো পাকিস্তানপ্রেম, তারা পাকিস্তানের পক্ষে কথা বলে। তাই এই পাকিস্তানপ্রেমে ঘৃণা হয়!
জবাবে হারুনুর রশিদ বলেন, আমি ভারতের সঙ্গে রক্তের সম্পর্কের বক্তব্য নিয়ে কথা বলেছি। আমি পাকিস্তানের পক্ষে কোথায় কথা বললাম? প্রতিনিয়ত সীমান্ত হত্যা হচ্ছে। এভাবে যদি কথা বলা হয়, মানুষ বলবে ভারতের দালাল। ইয়াবাসহ মাদক আসছে ভারত থেকে। ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি আছে, এই বিষয়গগুলো কী সমাধান হয়েছে? পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যা নেই। এসব কথা বললে কেন পাকিস্তান প্রীতি বলা হবে?
এরপর আরেকটি বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এত পাকিপ্রেম কেন? আমি তো কারো নাম নেইনি। অথচ ওনার গায়ে লাগলো কেন?
বাংলাদেশে সময়: ১৩৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২১
এসকে/এমজেএফ