পিরোজপুর: পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ার পোনা নদীতে ভাণ্ডারিয়া-ঢাকা নৌরুটে চলাচলকারী ঢাকাগামী এমভি টিপু-১২ লঞ্চের ধাক্কায় গাছের চারা বোঝাই ইঞ্জিনচালিত একটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে পাঁচ ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন।
রোববার (২ নভেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাঘাটা এলাকার আব্দুর রশিদ (৬৫) ও কাঠালিয়া উপজেলার বড় কাঠালিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদারকে (৬০) বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য তিনজনকে ভাণ্ডরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ঢাকাগামী এমভি ফারহান-১০ ও এমভি টিপু-১২ নামে দু’টি লঞ্চ দুপুর আড়াইটার দিকে ভাণ্ডারিয়া লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে যায়। কিছুদূর গিয়েই দুই লঞ্চের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। লঞ্চ দু’টি পোনা ও কচা নদীর মোহনায় পৌঁছালে টিপু-১২ লঞ্চটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চারা বোঝাই ইঞ্জিনচালিত একটি স্টিলের ট্রলারকে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলারটি দুমড়ে-মুচড়ে ডুবে যায়। এসময় ওই ট্রলারে থাকা পাঁচ ব্যবসায়ী আহত হনে।
ওই ট্রলারে থাকা মাসুদ হোসেন জানান, বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ ও বনজ গাছের চারা নিয়ে ঝালকাঠী জেলার কাঠালিয়া উপজেলা বাজার থেকে নাজিরপুরের বৈঠাঘাটার উদ্দেশে ট্রলারটি ছেড়ে আসে। পথে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার পোনা নদীতে দেলোয়ার বেপারীর ইটভাটার কাছে আসলে যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি টিপু -১২ পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনা সময় আমি এবং আমার ভাই সুমন লাফিয়ে নদীতে পড়ে প্রাণে রক্ষা পাই।
এদিকে বরিশাল বন্দর পরিবহন কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দুর্ঘটনার বিষয়টি শুনেছি, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২১
আরএ