কক্সবাজার: কক্সবাজার জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওবায়দুল করিম মামুন (৩৮) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর তোপখানা রোডের একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর একই অভিযোগে শ্রমিক লীগ নেতা জহিরুল হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাংবাদিক ইমাম খাইরকে গ্রেফতার করে র্যাব।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মনিরুল গিয়াস বাংলানিউজকে সত্যতা নিশ্চিত করছেন।
তিনি জানান, মামুনকে ঢাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়।
রোববার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সদরের লিংকরোড এলাকায় ঝিলংজা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুদরত উল্লাহ সিকদারের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে তার বড় ভাই নিহত জহিরুল ইসলাম সিকদারসহ কর্মীরা নির্বাচনী আলোচনা করছিলেন। এ সময় একদল দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলযোগে এসে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে এবং কুপিয়ে জখম করে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কুদরত উল্লাহর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৭ নভেম্বর দুপুরে জহিরুলের তার মৃত্যু হয়।
নিহত জহিরুলের স্বজনদের অভিযোগ ইউপি নির্বাচনে স্থানীয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছেন।
গত ৯ নভেম্বর এ হামলায় আহত কুদরত উল্লাহ সিকদার বাদী হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে ২১ জনকে আসামি করে কক্সবাজার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কুদরত উল্লাহ গত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে পুনরায় মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২১
এসবি/আরআইএস