দীপেন্দ্র নাথ সাহা। নাটোরের লালপুর শ্রী সুন্দরী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক তিনি।
রোববার (২৮ নভেম্বর) ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে ৫২ বছরের এই শিক্ষক দেখেন, তার নাম মৃত ব্যক্তির তালিকায়। এ কারণে তিনি ভোট দিতে পারেননি।
বিষয়টি নিয়ে আক্ষেপ করে দীপেন্দ্র নাথ সাহা বলেন, ‘আমি আর কতবার মারা গেলে ভোট দিতে পারবো। ’
তিনি জানান, নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা অনুসারে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো মারা গেছেন। তাই ভোট দিতে পারেননি।
শিক্ষক দীপেন্দ্র নাথ সাহা আরও জানান, জীবনে অনেকবার ভোট দিয়েছেন। শিক্ষক হিসেবে ভোটগ্রহণের দায়িত্বও পালন করেছেন। ২০১৫ সালে হঠাৎ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট দিতে গিয়ে জানতে পারেন নির্বাচন কমিশনের কাগজপত্রে মৃত ব্যক্তির তালিকায় তার নাম।
কেন্দ্র থেকে ফিরে এসে লালপুর উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকা সংশোধনের লিখিত আবেদন করেন। দীর্ঘ তিন বছর নির্বাচন অফিসে ঘোরাঘুরি করে ২০১৮ সালে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করে মৃত থেকে জীবিত হন।
ওই সময় নির্বাচন কার্যালয় থেকে আশ্বস্ত করা হয়, ভোটার তালিকা সংশোধন হয়ে যাবে এবং তিনি ভোটও দিতে পারবেন। কিন্তু রোববার ইউপিতে ভোট দিতে গিয়ে দেখেন মৃতের তালিকাতেই তার নাম।
এ বিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাসিব বিন সাহাব বলেন, সার্ভারে এনআইডি কার্ড সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভোটার তালিকা কেন সংশোধন হলো না, তা তিনি বুঝতে পারছেন না।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২১
জেএইচটি