লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে ছয় সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক সাংবাদিকের মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলার অভিযোগও ওঠেছে তার বিরুদ্ধে।
রোববার (২৮ নভেম্বর) ইউপি নির্বাচনের দিন বিকেলে চরপাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
ওই চেয়ারম্যানের নির্দেশে ঢাকা থেকে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়া সাংবাদিকদের মারধরের চেষ্টা করেন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
ভুক্তভোগী ইত্তেফাক পত্রিকার ফটোসাংবাদিক শামছুল হায়দার জানান, আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোটকেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তার করার ভিডিও করছিলেন তিনি। এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ তেড়ে এসে মুঠোফোনটি ছিনিয়ে নেন। পরে ভিডিও-ছবি ডিলিট করে মুঠোফোনটি ভেঙে ফেলেন।
এ সময় ওই পত্রিকার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক সাইদুর রহমান, জাগো নিউজের ডেপুটি চিফ রিপোর্টার সিরাজুজ্জামানসহ পাঁচজন সাংবাদিক তাকে উদ্ধার করতে আসেন। পরে তাদেরও গালমন্দ করে লাঞ্ছিত করেন উপজেলা চেয়ারম্যান।
সাইদুর রহমান জানান, শনিবার তারা সংবাদ সংগ্রহের জন্য রায়পুরের চরপাতা ইউনিয়নে যান। উপজেলা চেয়ারম্যান ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা। ভোটকেন্দ্রে বহিরাগত জড়ো করে প্রভাব বিস্তার নিয়ে প্রতিবেদন করতে গেলে উপজেলা চেয়ারম্যান ওই দিনও তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।
এ ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ জানান, ওই সাংবাদিকদের সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে বিষয়টি মিটমাট করে ফেলেছেন। মুঠোফোন ভেঙে ফেলার বিষয়টি সঠিক না।
এদিকে, উপজেলার দক্ষিণ চর আবাবিল ইউনিয়নের উত্তর গাইয়ার চর দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে এসএটিভির সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে নৌকা প্রার্থীর লোকজন। মোবাইল ফোনে তাদের ওপর হামলার নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নূর আলম জিকু। এ সময় এসএ টিভির গাড়ি ভাংচুর ও ক্যামেরা ছিনতাই করে নেয় হামলাকারীরা। এ ঘটনায় রাতে রায়পুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২১
জেডএ