ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করার স্থগিতাদেশ উঠে যাবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২১
ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করার স্থগিতাদেশ উঠে যাবে

ঢাকা: ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করা নিয়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ উঠে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

স্থগিতাদেশ আদেশ উঠে গেলে আমরা আবার বসে এই সময় কতটুকু বাড়ানো যায়, সেটা ঠিক করব। গ্রাহক পর্যায়ে প্রস্তুতি দেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সোমবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্যাবল অপারেটরদের সঙ্গে আলোচনা শেষে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে ক্যাবল অপারেটিং পদ্ধতি ডিজিটাল করার সময় বেঁধে দেওয়া হয়। অগ্রগতি কতটুকু সেটি পর্যালোচনা করেছি। ক্যাবল অপারেটররা বলেছেন, সারাদেশে গ্রাহকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি হয়েছে। ফিড অপারেটররাও সেট টপ বক্স কেনার জন্য বিনিয়োগ করেছেন। ক্যাবল অপারেটিং পদ্ধতি ডিজিটালাইড হলে গ্রাহক ভালোমতো টেলিভিশন দেখতে পারবেন। বছরে ১৫০০-১৮০০ কোটি টাকা সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। সব গ্রাহকদের ডিজিটালাইজড করতে পারলে এই টাকা সরকার রাজস্ব পাবে। ক্যাবল অপারেটররাও তাদের পাওনা সঠিকভাবে পাচ্ছেন না। টেলিভিশনগুলোও তখন পে-চ্যানেল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবে।

তিনি বলেন, এরই মধ্যে এক রিটের শুনানি নিয়ে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিজিটাল করা নিয়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারে মন্ত্রণালয় কাজ করছে, আশা করছি স্থগিতাদেশ উঠে যাবে। আদেশ উঠে গেলে আমরা আবার বসে সময় কতটুকু বাড়ানো যায় সেটা ঠিক করব। গ্রাহক পর্যায়ে প্রস্তুতি দেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সব ধরনের গ্রাহকেরা যাতে সহজে বিভিন্ন মানের সেট টপ বক্স পায় সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রয়োজন ও সামর্থ্য অনুযায়ী যাতে সেট টপ বক্স কিনতে পারেন সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এককালীনের পাশাপাশি কিস্তিতেও যাতে সেট পট বক্স কেনার সুযোগ থাকে সেটি নিয়েও আলোচনা করেছি। সরকারি কোনো সংস্থার মাধ্যমে দেশেও এটি উৎপাদন করা যায় কিনা, সেটি নিয়েও আলোচনা করেছি।

ক্যাবল অপারেটিং ডিজিটাল করতে রিট ছাড়া অন্য কোনো জটিলতা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, কেবল অপারেটরেরা প্রস্তুতি নিয়েছেন। ডিজিটাল হেডএন্ড বসানোর কাজটি তাদের করতে হয়। সেটি তারা অলমোস্ট সারা দেশে করেছেন। ঢাকা ও চট্টগ্রাম ছাড়াও মেট্রোপলিটন শহরসহ অন্য শহরগুলোতেও করেছেন। কিন্তু শুধু ডিজিটাল হেডএন্ড বসলেই ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটাল হবে না, প্রত্যেকটা গ্রাহকের কাছে সেট টপ বক্স থাকতে হবে, তাহলে ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেমটা ডিজিটালাইজড হবে।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে এখনো সবাই সেট টপ বক্স কেনেননি বা সবাইকে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। দেশে স্টক ও সাপ্লাইয়ের বিষয় আছে। কত শতাংশ গ্রাহকের কাছে সেট টপ বক্স আছে, সেই পরিসংখ্যান তারা দিতে পারেনি, তবে অনেক গ্রাহকের কাছে এখানো সেট টপ বক্স নেই। গ্রাহকের কাছে না থাকলে অপারেটিং সিস্টেম ডিজিটাল করা সম্ভব না। গ্রাহক যাতে আরেকটু সময় পায় সেট টপ বক্স সংগ্রহ করতে সে জন্য সময় কতটুকু বাড়ানো যায় এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২১
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।