ঢাকা: রাজধানীর মুগদায় একটি বাসায় গ্যাসের আগুনে দগ্ধ একই পরিবারের চার সদস্যই মারা গেলেন। সবশেষ সোমবার রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওই পরিবারের সদস্য শেফালী রাণী বাড়ৈ (৬০)।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) ইনস্টিটিউটের জরুরী বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শেফালী রাণীর শরীরে ২৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তার মেয়ে প্রিয়াংকা বাড়ৈ (৩২), জামাতা সুধাংশু বৌদ্ধ (৩৬) ও নাতি অরূপ বৌদ্ধ (৫)।
গত ২২ নভেম্বর সকাল পৌনে ৮টার দিকে দক্ষিণ মুগদা মাতব্বর গলির ৩৭ নম্বর বাড়ির নিচতলায় গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে একই পরিবারের চারজন দগ্ধ হয়। তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিইটে ভর্তি করা হয়।
মৃত প্রিয়াংকার বড় ভাই পলাশ বাড়ৈ জানান, তার বোন পরিবারসহ শরিয়তপুরে গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। বোন জামাইয়ের চিকিৎসার কারণে পরিবার নিয়ে তিনি ঢাকায় আসেন। মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল।
তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রিয়াংকা পানি গরম করতে রান্না ঘরে যায়। গ্যাসের চুলা চালু করে দিয়াশলাই জ্বালাতেই রান্না ঘরে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে বাসায় থাকা চারজনই দগ্ধ হয়।
ঘটনার দিন মুগদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম খলিল জানান, ধারণা করা হচ্ছে চালু করে রাখা গ্যাসের চুলা থেকে রান্না ঘরে গ্যাস জমে ছিল। দিয়াশলাই জ্বালাতেই সেই গ্যাস বিস্ফোরণ হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২১
এজেডএস/এমজেএফ