ঢাকা: রামপুরায় অনাবিল বাস চাপায় নিহত স্কুল ছাত্র মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয়ের (১৭) মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে। পরিবার জানিয়েছেন দুর্জয়ের দাফন দেওয়া হবে গ্রামের বাড়িতে।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত শুরু করেন ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসকরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুর্জয়ের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে মর্গে নিহতের বড় ভাই মনির হোসেন জানান, তাদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলার হালুয়াপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম আ. রহমান ও মা রাশিদা বেগম। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে সবার ছোট সে। পরিবার নিয়ে থাকতো রামপুরা তিতাস রোডের একটি বাসায়।
তিনি জানান, ঘটনার পর থেকেই তার বাবা মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তারা দুজন বাসাতেই আছে। ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। তিতাস রোডে তার মা বাবা একটি চায়ের দোকান করেন। মাইনুদ্দিনও তাদেরকে দোকানে বিক্রিতে সাহায্য করতো।
নিহত মাইনুদ্দিনের বেয়াই মো. বাদশা জানান, গতকাল মাইনুদ্দিনের ১৮তম জন্মদিন ছিল। রাত সাড়ে ১১টায় বাসায়ই কেক কাটার কথা ছিল। দোকানে থাকাকালে রাত ৯টার দিকে তার মোবাইলে একটি কল আসে। তখন সে বাবা মাকে বলে, তার এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে রামপুরা আটারমিল পাশে যাচ্ছে সে।
তিনি বলেন, সেখানে বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে বাসায় ফেরার জন্য রাস্তা পার হওয়ার সময়ই অনাবিল বাসের চাপায় প্রাণ হারায় সে।
এদিকে নিহতের দুলাভাই সাদ্দাম হোসেন জানান, মাইনুদ্দিনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।
এর আগে রামপুরা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) আলআমিন মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন।
তিনি জানান, নিহতের মাথায় জখম রয়েছে। তাছাড়া শরীরে বাহ্যিক ভাবে কোনো জখম দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২১
এজেডএস/এনএইচআর