ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শালিখায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ২০

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২১
শালিখায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ২০ হাসপাতালে আহতরা

মাগুরা: মাগুরার শালিখা উপজেলার ১ নম্বর ধনেশ্বরগাতী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়ী এবং পরাজিত দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৭ জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশ ১৩ জনকে আটক করেছে।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকালে ১ নম্বর ধনেশ্বরগাতী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বটতলা বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শালিখা উপজেলার ১ নম্বর ধনেশ্বরগাতী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক মেম্বার প্রমথ বিশ্বাস ঘড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ফুটবল প্রতীকের জীবন বিশ্বাস। নির্বাচনে জীবন বিশ্বাস ৯৯৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। অন্যদিকে ৯৯৬ ভোট পেয়ে মাত্র ১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন প্রমথ বিশ্বাস।  

পরাজয় মেনে নিতে না পেরে প্রমথ বিশ্বাস গতকাল সোমবার (২৯  নভেম্বর) পুনরায় ভোট গণনার জন্য মাগুরা জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে একটি লিখিত আবেদন করেন। মূলত এ নিয়েই তাদের মধ্যে পূর্বের বিরোধ আরও চরমে পৌঁছে।  

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকালে ধনেশ্বরগাতী গ্রামের বটতলা এলাকায় বিজয়ী মেম্বার জীবন বিশ্বাস তার সমর্থকদের নিয়ে প্রমথ বিশ্বাসের ওপরে হামলা চালায়। এ সময় প্রমথ বিশ্বাসের লোকজন এগিয়ে গেলে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে প্রমথ বিশ্বাস (৫৫),  অসীম বিশ্বাস (৪০) বিজন বিশ্বাস (৪৫), রিক্তা বিশ্বাস (৩৫) পলি বিশ্বাস (২৫) বিচিত্র বিশ্বাস (২৭) ও তপু বিশ্বাসসহ (১৮) উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় পুলিশ এলাকা থেকে ১৩ জনকে আটক করে।

আহতদের মধ্যে যশোর সিটি কলেজের সম্মান প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী পলি বিশ্বাসসহ সাতজনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ সংঘর্ষের বিষয়ে জীবন বিশ্বাস এবং প্রমথ বিশ্বাস পরস্পরকে দায়ী করেছেন। পরাজিত প্রার্থী প্রমথ বিশ্বাস বলেন, কোনো ধরনের উস্কানি ছাড়াই জীবন বিশ্বাসের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমার বিশ্বাস পুনরায় ভোট গণনা হলে ফলাফল আমার পক্ষে আসবে।

অন্যদিকে বিজয়ী মেম্বার জীবন বিশ্বাস বলেন, নির্বাচনে হেরে যেয়ে প্রমথ বিশ্বাস আমার লোকজনের সঙ্গে ঝামেলা বাধায়। ফলে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।  

শালিখা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারক বিশ্বাস বলেন, নির্বাচনে হেরে গিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের লোকজন আহত হয়েছেন। জীবন বিশ্বাস এবং তারাপদ বিশ্বাসসহ মোট ১৩ জন আটক রয়েছে। ফের যেন কোনো ঘটনা না ঘটে সেজন্য এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।