ঢাকা: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের পর এবার পরিবেশবান্ধব উপায়ে বঙ্গোপসাগরের সম্পদ ব্যবহার করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকায় ‘ইন্সপায়ারড বাই বঙ্গবন্ধুস ভিশন অব রিজিওনাল অ্যান্ড গ্লোবাল পিস: এনভিসাজিং রিজিওনাল পিস অ্যান্ড কোঅপারেশন ইন দ্য বে অব বেঙ্গল’ শীর্ষক এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ’র (আইইউবি) সেন্টার ফর বে অব বেঙ্গল স্টাডিসের যৌথ আয়োজনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, পরিবেশবান্ধব জ্বালানি উৎপাদন থেকে শুরু করে নতুন নতুন টেকসই শিল্প গড়ে তোলা যেমন জীবপ্রযুক্তি এবং অ্যাকুয়াকালচার, সবকিছুর জন্যই বিনিয়োগ প্রয়োজন যাতে করে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি হয় এবং দক্ষতা বাড়ে। এতে করে সামুদ্রিক সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহারের বিষয়ে আগ্রহ বাড়বে এবং নানা রকম উদ্ভাবনের রাস্তা প্রশস্ত হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে স্বশরীরে উপস্থিত হতে না পারায় একটি ভিডিও বার্তা পাঠান প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন পূরণের একটি অন্যতম পূর্বশর্ত ছিল আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ লক্ষ্যে তিনি তার পররাষ্ট্রনীতিতে ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বৈরিতা নয়’ এই মূলনীতি গ্রহণ করেছিলেন।
সম্মেলনে আইইউবির উপাচার্য তানভীর হাসান বলেন, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিতে সরকারের যে এজেন্ডা রয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে আইউবি কাজ করে যাচ্ছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শান্তি, সম্প্রীতি এবং সব মানুষের সমান অধিকারের জন্য লড়াই করেছিলেন। আমরা তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নেই কাজ করছি।
বিশ্বশান্তি বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও রূপকল্পকে নতুন করে সবার সামনে তুলে ধরতে আগামী ৪-৬ ডিসেম্বর ঢাকায় বিশ্ব শান্তি সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারই প্রস্তুতির অংশ হিসেবে আইইউবির সার্বিক সহযোগিতায় এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২১
টিআর/আরআইএস