কক্সবাজার: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ২৮ নভেম্বর ভোট গ্রহণ চলাকালে ১৬১টি ব্যালট পেপার প্যান্টের পকেটে লুকিয়ে কেন্দ্রের বাইরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও কলেজ অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে।
এ সময় ভোটকেন্দ্রে কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট তাকে ব্যালট পেপারসহ আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
এ ঘটনায় মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাতে চকরিয়া থানায় মামলা হয়। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবের নির্দেশে মামলা করেন চকরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এবং পূর্ব বড় ভেওলা ও বদরখালী ইউপি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সুপন নন্দী। আসামি মুজিবুর রহমান চকরিয়া বদরখালী কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়ার উত্তর নলবিলা গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভোটের দিন বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ভেওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান কিছু ব্যালট পেপার পকেটে নিয়ে কেন্দ্রের বাইরে চলে যান। এ নিয়ে কেন্দ্রে দায়িত্বরত পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে মুজিবুর রহমানের বাগবিতণ্ডা চলে। একপর্যায়ে তার সঙ্গে ভোটারদের হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। তখন ভোটকেন্দ্রে কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। বিকেল পৌনে চারটার দিকে ভোটকেন্দ্রের পশ্চিমের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলার ৩ নম্বর পোলিং বুথের ভেতরে নিয়ে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মুজিবুরের প্যান্টের পকেট থেকে ১৬১টি অব্যবহৃত ব্যালট পেপার উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর ৫১টি, সংরক্ষিত মহিলা প্রার্থীর ৬০টি এবং সাধারণ সদস্য পদের ৫৫টি ব্যালট পেপার ছিল।
পুলিশ ও স্থানীয় ভোটারদের ধারণা, প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে ব্যালট পেপার সরবরাহ করার কথা দিয়েছিলেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা। কথা অনুযায়ী ব্যালট পেপার সরবরাহ করতে গিয়ে তিনি হাতে-নাতে ধরা পড়েন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, এ ঘটনায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তার নামে মামলা হয়েছে। এ মামলায় কলেজ অধ্যক্ষ মুজিবুর রহমানকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২১
এসবি/আরআইএস