ঢাকা: ১৪ ডিসেম্বর থেকে অবসরে গেলেও ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে থাকছেন অতিরিক্ত সচিব (ওএসডি) মো.মাহবুব কবীর।
সরকারের আলোচিত এই কমর্কর্তার অবসরে যাওয়ার গেজেট মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) জারি করা হয়েছে।
এর আগে ১৮ অক্টোবর এক আদেশে হাইকোর্ট মাহবুব কবীরকে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির এমডি হিসেবে নিয়োগ দেন।
১৪ ডিসেম্বর থেকে অবসরে গেলেও তিনি ইভ্যালিতে থাকছেন কিনা এ বিষয়ে মাহবুব কবীর মঙ্গলবার তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, 'চাকুরি থেকে অবসরের প্রজ্ঞাপন জারি হলো আজ। আগামী ১৪/১২/২০২১ শেষ কর্ম দিবস। কিছুদিন রেস্ট নিতে চেয়েছিলাম। মানুষ ভাবে এক, হয় আর এক।
১৪ তারিখের পরেও ইভ্যালির সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। হাইকোর্ট বিভাগের আদেশে তাই বলা আছে। জানি না কতদিন এই যুদ্ধ চলবে। '
১৮ অক্টোবর দেওয়া হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়েছিলো, এমডি অতিরিক্ত সচিব (ওএসডি) মাহবুব কবীর সরকারের কাছ থেকে বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাবেন (অবসরের পূর্ব পর্যন্ত)। তবে অবসরে যাওয়ার পর সর্বশেষ সরকারের কাছ থেকে পাওয়া বেতন অনুযায়ী ইভ্যালি তাকে বেতন দেবে।
কোম্পানিটির চেয়ারম্যান ও এমডি কারাগারে থাকার প্রেক্ষাপটে এক গ্রাহক অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।
হাইকোর্ট কোম্পানিটি পরিচালনায় আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে একটি বোর্ড গঠন করে দেন।
সেই বোর্ডে এমডি হিসেবে রয়েছেন মাহবুব কবীর।
অবসরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) মো. মাহবুব কবীরকে ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর ধারা ৪৩(১)(ক) অনুযায়ী আগামী ১৪ ডিসেম্বর থেকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো।
তার অনুকূলে ১৮ মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ ও ল্যাম্পগ্রান্টসহ আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছরের অবসরোত্তর ছুটি (পিআরএল) মঞ্জুর করা হয়।
তিনি বিধি অনুযায়ী অবসর ও অবসরোত্তর ছুটিকালীন সুবিধাদি প্রাপ্য হবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
মাহবুব কবীর রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ছিলেন। রেল বিভাগের নানা অনিয়ম দূর করতে নতুন নতুন উদ্যোগ নেন তিনি।
গত বছরের ৬ আগস্ট তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। মাহবুব কবীর এর আগে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছিলেন।
গণমাধ্যমে সরকারের জন্য অস্বস্তিকর বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ায় মাহবুব কবীরকে লঘুদণ্ড ‘তিরস্কার’ দেওয়া হয়। চলতি বছরের ১ মার্চ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় তাকে এই শাস্তি দেয়।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব থাকার সময় ‘বিনিয়োগ করতে এসে হু হু করে কাঁদতে দেখেছি বিদেশিদের’ শিরোনামে একটি লেখা প্রকাশিত হওয়ার পর গত ১১ আগস্ট মাহবুব কবীরকে লঘুদণ্ড হিসেবে ‘তিরস্কার’ করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২১
ইএস/আরএ