নাটোর: নাটোরে নারদ নদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। উচ্ছেদ অভিযানের প্রথম দিনেই প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মধ্যে ৩৮টি পাকা ও সেমিপাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৯টা থেকে দিনভর চলে এই উচ্ছেদ কার্যক্রম।
জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট খালিদ হাসানের নেতৃত্বে নাটোর প্রধান ডাকঘরের পেছন থেকে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়।
অবৈধ দখল ও দূষণে এক সময়ের খরস্রোতা নারদ নদের স্বাভাবিক প্রবাহ ক্ষীণ হয়ে পড়েছে। এ প্রেক্ষাপটে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি শুরু হওয়ার আগে অবৈধ দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করে জেলা প্রশাসন। ওই সময় জেলা প্রশাসন অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে হতদরিদ্র পরিবারের পুনর্বাসনেও পদক্ষেপ গ্রহণ করে। পরবর্তীতে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে এ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। পুনরায় মঙ্গলবার থেকে নারদ নদের দু’পাড় থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হলো।
উচ্ছেদ অভিযান শুরু করার আগে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্যে গত এক সপ্তাহ ধরে শহরে মাইকিং করা হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং জেলা পুলিশ উচ্ছেদ কার্যক্রমে সহযোগিতা করে।
এ উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট খালিদ হাসান।
নদী বাঁচাও আন্দোলন নাটোর জেলা কমিটির সভাপতি ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবন অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে বাংলানিউজকে বলেন, নদীর সীমানা চিহ্নিত করে পিলার বসাতে হবে এবং ভবিষ্যতে নদীকে দখলমুক্ত রাখতে নদী ভিত্তিক জলজ প্রাণির অভয়াশ্রম গড়ে তোলা এবং জলজ বৃক্ষ রোপন করতে হবে। সকল কারখানায় নিয়মিত ইটিপি ব্যবহার এবং টয়লেট ও ড্রেনের বর্জ্য নদীতে না ফেলার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, উচ্ছেদ কার্যক্রমে বসতি হারানো হৃতদরিদ্র পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনে পদক্ষেপ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। উচ্ছেদ শেষে শহরের মধ্যে নদের দু’পাড়ে ওয়াকওয়েসহ সৌন্দর্য বর্ধন কার্যক্রম বাস্তবায়নে নদী রক্ষা কমিশনের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২১
জেডএ