ঢাকা: বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এ চুক্তির আওতায় ঢাকার আমিন বাজারে ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কারখানা তৈরি করা হবে।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড চীনের প্রতিষ্ঠান সিএমইসিয়ের সঙ্গে এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের মতো একটি অতিরিক্ত জনসংখ্যার দেশে বর্জ্য নিষ্কাশন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা সেখান থেকে বের হয়ে এসে এ বর্জ্যগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আশা করি এটি আমাদের জন্য একটি বড় প্রাপ্তি হবে। এ প্রকল্পে খুবই সতর্কভাবে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে, যেন বর্জ্য নিষ্কাশন সঠিকভাবে হয় এবং এ থেকে কোনো বায়ু বা পরিবেশ দূষণ না হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিজয়ের মাসে এটি আমাদের একটি বড় প্রাপ্তি। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কেন্দ্র প্রাথমিকভাবে ঢাকার আমিনবাজারে করা হলেও এ উদ্যোগ যথাক্রমে গাজিপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম এবং ঢাকা উত্তরেও করা হবে। এছাড়া দেশের যে সকল পৌরসভা বা সিটি করপোরেশন এটার যোগ্য হবে, সেখানেও বিদ্যুৎ বিভাগ থাকবে। আর অচিরেই ঢাকা শহরের সকল বিদ্যুৎ লাইন মাটির নিচ দিয়ে নেওয়া হবে। এখন ক্যাবল লাইনের তারগুলো সরানো প্রয়োজন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রতিদিন ঢাকা শহরে ৩ হাজার টন বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য তৈরি করি। এগুলোর এখন পরিবেশের জন্য আর ক্ষতিকর নয়, বরং আমাদের কাজে আসবে। এগুলো থেকেই আমরা এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবো।
একই সঙ্গে এটাও বলতে চাই যে, আমরা রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশন একযোগে কাজ করছি। ঢাকায় কোনো জ্বালানি চালিত বাস চলবে না, চলবে সব বিদ্যুৎ চালিত বাস। আর সেটার জন্যও আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি।
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ এবং ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২১
এইচএমএস/জেডএ