যশোর: যশোর জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পৃথক ছুরিকাঘাতে ১০ যুবলীগ কর্মী আহত হয়েছেন।
বুধবার (০১ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের ঝালাইপট্টি ও টাউন হল ময়দানে এই ঘটনা ঘটে। জেলা যুবলীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে তারা শহরে আসেন। এ ঘটনার পর থেকে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আহতরা হলেন সদর উপজেলার রবিউল ইসলামের ছেলে খাইরুল ইসলাম (২০), চুড়ামণকাটি গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে আকিবুল ইসলাম(১৭), শহরের মুড়লি এলাকার সুফিয়ানের ছেলে রাব্বি (১৮), রুপদিয়া এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে শামীম হোসেন (২২), ঝুমঝুমপুর এলাকার মুরাদ হোসেনের ছেলে রাসেল (১৭), চাচড়ার জাকির হোসেনের ছেলে জয় আহম্মেদ (১৭), ধর্মতলা এলাকার বাদল গোপালের ছেলে গোষ্ঠ গোপাল (২০), স্বপন সরদারের ছেলে সোহাগ সরদার (২১), আর এন রোড এলাকার শফি ড্রাইভারের ছেলে হ্যাপী (১৭), হামিদপুর এলাকার রেজাউল ইসলামের ছেলে টিটো (১৮)। আহতদের মধ্যে রাসেল হোসেন, হ্যাপি, খায়রুল, টিটু ও আকিবুলকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, ১৮ বছর পর যশোর জেলা যুবলীগের বর্ধিতসভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে যশোর শহরের সিটিটিএস মিলনায়তনে যশোর জেলা ও ৮ উপজেলার সকল নেতারা অংশ নেয়। বর্ধিতসভায় অংশ নিতে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় চত্বরে জড়ো হন যুবলীগের পদপ্রত্যাশী দুই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জুয়েল ও আনোয়ার হোসেন বিপুলের কর্মী সমার্থকরা। এরপর দুই গ্রুপের স্লোগানে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় শহরের গাড়িখানা রোডে। একপর্যায়ে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু'গ্রুপের সংঘর্ষ বাধে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় শহরের বিভিন্ন স্থানে দু'গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে ছুরিকাঘাতে ১০ জন আহত হন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাসেল বলেন, সকালে যুবলীগের বর্ধিত সভায় মিছিল নিয়ে শহরের চিত্রার মোড়ে আওয়ামী লীগের অফিসের সামনে আসছিলাম। মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে ঝালাইপট্টি পৌঁছালে হ্যাপি তার লোকজন নিয়ে আমাকে ছুরিকাঘাত করে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাসপাতালে আসি।
আহত হ্যাপি জানায়, রাসেলকে কে ছুরি মেরেছে আমার জানা নাই। যুবলীগের মিছিল শেষে রাসেল লোকজন নিয়ে আমাকে ছুরি মেরে আহত করেছে। স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। একই ঘটনায় খায়রুলকে টাউন হল ময়দানে ছুরিকাঘাত করে আহত করা হয়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এম আব্দুর রশিদ বাংলানিউজকে বলেন, হ্যাপি, খায়রুল ও আকিবুলের শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। রক্ত বন্ধ করা যাচ্ছে না। তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বর্ধিতসভাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে। দু'গ্রুপের সংঘর্ষে ছুরিকাঘাতে ১০ জন আহত হয়েছেন। যুবলীগের জুয়েল ও বিপুল গ্রুপের মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০২১
ইউজি/জেডএ/কেএআর