মাছির কামড়ে বাঘের মৃত্যু! অবাক হওয়ার মতোই ঘটনা। তবে এটাই ঘটেছে জাতীয় চিড়িয়াখানায়।
করোনাকালে গত ২৬ মে মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় বেঙ্গল টাইগার দম্পতি টগর আর বেলির ঘরে জন্ম নেয় ছেলে শাবক দুর্জয় আর মেয়ে শাবক অবন্তিকা। জন্মের প্রায় ছয় মাস পর দুর্জয় ও অবন্তিকা মারা গেছে।
গত ২১ নভেম্বর তাদের মৃত্যু হলেও এতদিন বিষয়টি গোপন রাখে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। শনিবার রাতে জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ডা. আব্দুল লতিফ গণমাধ্যমকে জানান, ১৫ নভেম্বর বাঘের দুই শাবকের অসুস্থতা ধরা পড়ে। তারা পেছনের পা খুঁড়িয়ে হাঁটছিল। এ অবস্থায় চিকিৎসা শুরু করে চিড়িয়াখানা মেডিক্যাল বোর্ড। রক্ত পরীক্ষায় তাদের মাছিবাহিত রক্তের পরজীবী ধরা পড়ে। সে অনুযায়ী চিকিৎসাও চলছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঘ শাবক দুটিকে বাঁচানো যায়নি।
ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেছে, সেটসি ফ্লাই নামে এক ধরনের মাছির কামড়ে ট্রাইপেনোসোমা রোগে এদের মৃত্যু হয়। তবে এর খবর বা কোনো ছবি দেয়নি কর্তৃপক্ষ। গবেষকরা বলছেন, অদক্ষ চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা ও অযত্ন-অবহেলাই এই মৃত্যুর কারণ। এভাবে চললে চিড়িয়াখানায় কোনো বাঘ শাবকই বাঁচানো যাবে না।
অভিযোগ উঠেছে, বাঘ শাবক দুটিকে হাসপাতালে না নিয়ে চিড়িয়খানার খাঁচায় রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হয়। এতে অসুস্থের ১০ দিনের মধ্যেই মারা যায় তারা। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর।
একটু বেশিই দুষ্টু ব্যাঘ্র শাবক অবন্তিকা
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২১
এসআইএস