বেনাপোল(যশোর): করোনা সংক্রমণ রোধে দীর্ঘ আট মাস বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু হয়েছে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন। তবে বেনাপোল এক্সপ্রেসের কোচ পরিবর্তন করায় যাত্রীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১টায় ১৮৮ জন যাত্রী নিয়ে বেনাপোল থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে ট্রেনটি।
বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী শরিফুল ইসলাম জানান, ব্যবসার কাজে প্রতি মাসে ঢাকায় যাতায়াত করতে হয়। দীর্ঘ দিন বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্ধ থাকায় তাকে বাসে অথবা প্লেনে যাতায়াত করতে হতো। বর্তমানে বেনাপোল এক্সপ্রেসটি পুনরায় সচল হওয়ায় খুশি তিনি। তবে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটির আগের কোচগুলোই ভালো ছিল।
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার শহিদুল ইসলাম জানান, সরকারের নির্দেশনায় করোনা সংক্রমণ রোধে দীর্ঘ আট মাস বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি বন্ধ ছিল। তবে করোনা সংক্রমণের হার কমায় বৃহস্পতিবার আবার বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি সচল হয়েছে।
এছাড়া আগে এ রুটে যে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি চলতো, সেটা ইন্দোনেশিয়ায় তৈরি ছিল। আর এখন যেটা চলছে, সেটি ভারতে তৈরি।
জানা যায়, যশোর অঞ্চলের মানুষের চলাচলের সুবিধার জন্য ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি উদ্বোধন করেন। সে সময় থেকে ইন্দোনেশিয়ার তৈরি ৮৮৬ আসন বিশিষ্ট বেনাপোল এক্সপ্রেস চলাচল করে আসছিল। সে ট্রেনটিতে ১২টি কোচের মধ্যে কেবিনে ছিল ৪৮ আসন, এসি চেয়ার ছিল ৭৮টি ও বাকি ৭৬০টি নন এসি চেয়ার ছিল। কিন্তু বর্তমানে যে ট্রেন দিয়ে বেনাপোল এক্সপ্রেস পুনরায় চালু করা হয়েছে, তাতে যাত্রী সেবার মান সন্তোষজনক নয়। এখনকার ট্রেনটি ভারতে তৈরি এবং ট্রেনে কোনো এসি কোচ নেই। এ ট্রেনটির আটটি কোচে ৪৮টি কেবিন আসন আছে। বাকি ৭৪৫টি নন এসি চেয়ার। ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতিটি নন এসি চেয়ার ৪৮৫ টাকা ও কেবিন প্রতি আসন ১১১৬ টাকা। পুনরায় চালু হওয়া বেনাপোল এক্সপ্রেসে এসি আসন না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করছেন যশোরসহ বেনাপোলে জনগণ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০২১
এসআই