ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাতক্ষীরার ৫৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ অনিশ্চিত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২১
সাতক্ষীরার ৫৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ অনিশ্চিত

সাতক্ষীরা: জলাবদ্ধতায় সাতক্ষীরা জেলার অধিকাংশ বিল ডুবে থাকায় বিপুল পরিমাণ জমিতে বোরো আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে বোরো আবাদের টার্গেট পূরণ না হওয়ার আশংকাও রয়েছে কৃষি কর্মকর্তাদের।

সাতক্ষীরার দেবহাটা, আশাশুনি ও সদর উপজেলার চাষিরা জানান, এ বছর নবান্ন উৎসবে মেতে উঠতে পারেননি তারা। যে বিলগুলোতে থাকার কথা সোনালি ধানের সমারোহ, সেই বিলগুলো এখনো পানিতে থৈ থৈ করছে।
পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে এসব বিলে অপরিকল্পিতভাবে মাছের ঘের করেছেন প্রভাবশালীরা। এতে কপাল পুড়েছে গরীব চাষিদের। আমন ফসল থেকে বঞ্চিত হয়েছে হাজার হাজার কৃষক। হেমন্তের এই দিনে যে গ্রামগুলোর উঠোন ভরা থাকতো নতুন ধানের পালায়, সেই উঠোনে এবার এক আঁটি ধানও দেখা যায়নি।  

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ফিংড়ি গ্রামের আবুল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, খাল, বিল ও নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার কারণে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যান্যবার রবি মৌসুমে ফিংড়ি মাঠে ধান, আলু, কপি, পেঁয়াজ, বেগুন, টমেটো, গম, খেশারীসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ করতাম। পানির কারণে এবার কিছুই চাষ করতে পারিনি।

একই এলাকার কৃষক মফিজুল ইসলাম জানান, জেলার সর্ববৃহৎ বিল দাঁতভাঙ্গা, মালিনি, হাজিখালি, বুড়ামারা, পালিচাঁদ, চেলারবিল, ডাইয়ের বিল, ঘুড্ডির বিল, কচুয়ার বিল, ঢেপুর বিল, লাবসার বিল, বল্লীর বিল ও পদ্মবিলসহ অর্ধশতাধিক বিল এখনও ফসল শূন্য। এসব বিল ও গ্রামের পানি নিষ্কাশনের পথ বেতনা, মরিচ্চাপ ও সীমান্তের ইছামতি নদী। এসব নদী বিল ছাড়া উঁচু হয়ে গেছে। ফলে প্রতি বছর বিলগুলো জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছে। ফলে আমনের আবাদ হয়নি। পাশাপশি বোরো আবাদও অনিশ্চিত।

সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে জানা যায়, সাতক্ষীরায় মোট এক লক্ষ ৭৭ হাজার ৮১৪ হেক্টর জমির মধ্যে আবাদি জমির পরিমাণ প্রায় এক লক্ষ ৩১ হাজার ৭৮৮ হেক্টর। চলতি মৌসুমে সাতক্ষীরায় ৭৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, জলাবদ্ধতার কারণে ৫৫ হাজার ৭৮৮ হেক্টর জমিতে এবার বোরো চাষ অনিশ্চিত।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (খামারবাড়ি) উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে ৭৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জলাবদ্ধতা না থাকলে বোরোর আবাদ আরও বেশি হতো বলে জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২১ 
এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।