ভোলা: ভোলার লালমোহন উপজেলায় একটি কালভার্ট সংস্কারের অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন চার গ্রামের মানুষ। দীর্ঘদিনেও তা মেরামত বা নতুন করে নির্মাণ না করায় বন্ধ হয়ে গেছে যানবাহন চলাচল।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, কালভার্ট মেরামতের বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বার বার বলার পরেও কোনো কাজ হয়নি। ১০/১৫ বছর আগে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছিলো। এক বছর আগে মালামাল নিয়ে পার হতে গিয়ে কালভার্টটি ভেঙে যায়।
স্থানীয়রা জানায়, লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের সৈনিক বাজার থেকে গজারিয়া বাজার সড়কের ইলিশা কান্দি গ্রামের সড়কে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এটি রায়পুরা কান্দি, গনেশপুরা কান্দি, দেওয়ান কান্দি ও উত্তর ইলিশা কান্দি এ চার গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র ভরসা।
কিন্তু এক বছরের বেশি সময় ধরে কালভার্টটি নাজুক অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ভারী যানবাহনের চাপে এক বছর আগে এটি ভেঙে যায়। এরপর সেটি আর মেরামত করা হয়নি। এই সড়ক দিয়েই স্কুল, কলেজ ও পথচারীরা চলাচল করলেও কালভার্টটি ভেঙে পড়ায় তাদের যাতায়াত করতে কষ্ট হচ্ছে। মাঝে মধ্যে পানিতে ডুবে থাকে রাস্তাটি।
ইলিশা কান্দির বাসিন্দা মাদ্রাসা শিক্ষক মোশারেফ হোসেন জানান, কালভার্ট এলাকাবাসীর চলাচলের একমাত্র ভরসা। কিন্তু সেটি ভেঙে যাওয়ায় এই সড়ক দিয়ে কোনো যানবাহন চলতে পারছে না। বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ধান, চাল বা অন্য পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারে।
উত্তর ইলিশা কান্দির বাসিন্দা মো. সাগর, দেওয়ান কান্দির বাসিন্দা রিপন ও ইলিশা কান্দির বাসিন্দা শরিফুল ইসলাম জানান, কালভার্টটি চার গ্রামের মানুষ সংযোগ স্থল। এ পথ দিয়ে এলাকাবাসী যাতায়াত করে। রিকশা, বাইসাইকেল, অটোরিকশা ও ভ্যান চলাচল করতো। তবে কালভার্টটি ভাঙা থাকায় তাদের অনেকটা পথ ঘুরে যেতে হয়। তখন মানুষের দুর্ভোগের সীমা থাকে না। এটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।
পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য তছির আহমেদ জানান, কালভার্টটির কারণে জনগণ অনেক ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদকে জানানো হয়েছে তবে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী বিল্লাল হোসেন বলেন, এডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে ওই স্থানে খুব শিগগিরই নতুন করে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। এটি নির্মাণ হলে মানুষের ভোগান্তি থাকবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০২১
আরএ