ঢাকা: বিদেশি ব্যবসায়ীদের নিয়ে দেশে যৌথ বাণিজ্য সংগঠন তৈরি করার সুযোগ রেখে ‘বাণিজ্য সংগঠন আইন, ২০২১’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এটা ট্রেড অরগানাইজেশন অর্ডিনেন্স ১৯৬১ রহিত করে গত দুই-তিন বছর ধরে তারা (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়) চেষ্টা করছে এবং বাণিজ্য সংগঠন আইন-২০২১ নিয়ে এসেছে। এখানে ৩২টি ধারা আছে।
তিনি জানান, বাণিজ্য সংগঠনে নারী উদ্যোক্তাদের লাইসেন্সের মাধ্যমে আইনি ভিত্তির বিধান রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক বা বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে, এরূপ কোনো দেশ বা অঞ্চলে ব্যবসা শিল্প বা বাণিজ্য ও সেবা খাতে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য যৌথ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং একাধিক যৌথ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সমন্বয়ে গঠিত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যালায়েন্সের বিধান রাখা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, অন্য দেশ থেকে এসেও আমাদের দেশে এসে তারা (বিদেশি ব্যবসায়ীরা) একটি জয়েন্ট চেম্বার করতে পারবেন। মেয়েদের জন্য আলাদা চেম্বারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তারা মূল চেম্বারের সদস্য হতে পারবেন কিন্তু শুধু নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠিত করার জন্য আলাদা চেম্বার করতে পারবেন। যেমন আমাদের ঢাকাতে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে আবার মেট্রোপলিটন চেম্বার রয়েছে। মেয়েরা যেহেতু এখনো পর্যন্ত ট্রু উদ্যোক্তা হিসেবে প্রমিনেন্ট হননি সেজন্য তাদের কিছু প্রেফারেন্স দিতে আলাদা চেম্বারের কথা বলা হয়েছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, মহিলা চেম্বারের যারা নেতৃবৃন্দ থাকবেন যেমন সভাপতি বা সেক্রেটারি তারা মেইন চেম্বারের বোর্ডের মেম্বার থাকবেন। দে ইউল বি গাইডেড বাই এফবিসিসিআই। সব জেলায় মহিলা চেম্বার নেই, ৩৪টি জেলায় আছে। যেখানে হয়তো কমফরটেবল সিনারিও নেই সেখানে হবে না। কিন্তু প্রভিশনটা রেখে দেওয়া হয়েছে। এটার জন্য একটি লাইসেন্স নিতে হবে এবং ফিও দিতে হবে। সেন্ট্রাল যে চেম্বার থাকবে তার সঙ্গে তাদের লিংক থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
এমআইএইচ/এমজেএফ