ঢাকা: ছয় থেকে আট সপ্তাহ পর জোড়া শিশু লাবিবা-লামিসার পূর্ণাঙ্গ অস্ত্রোপচার করা হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। মোট ৩২ জন চিকিৎসক আজ অস্ত্রোপচারে অংশ নিয়েছেন।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা ১টার দিকে প্রথম ধাপের অস্ত্রোপচার শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা।
বোর্ডের প্রধান অধাপক ডা. আশরাফ উল হক কাজল বলেন, পুরোপুরি আলাদা করা সম্ভব হয়নি জোড়া শিশু লাবিবা-লামিসাকে। ঝুঁকি এড়াতে আরেকটি ধাপে তাদের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা করা হবে।
ডা. কাজল বলেন, শিশু দুটির যোনিদ্বার ও মলদ্বার খুবই কাছাকাছি। এখন আলাদা করলে লামিসার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হবে। আজকে যদি সেপারেশনে যেতাম তবে লামিসার যৌনাঙ্গ রাখতে পারতামনা। আমরা চাই দু-জনকেই পূর্নাঙ্গ নারী হিসাবে দেখতে।
তিনি আরও বলেন, এজন্য আমরা আজকের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেখানে সিলিকন বল স্থাপন করে দিয়েছি। এক সপ্তাহ পরপর সেই বল স্যালাইন পুশ করে ফুলিয়ে টিস্যুগুলোকে প্রসারিত করা হবে। এক্ষেত্রে তাদের দুজনকে আলাদা ভাবে দেখতে পাবো।
তিনি আরও বলেন, আজ আমরা ৩২ জন চিকিৎসক অস্ত্রোপচারে ছিলাম। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয় অস্ত্রোপচার। এক্ষেত্রে এ্যানেসথোলজি বড় ভূমিকা রেখেছে। এ অস্ত্রোপচারে ন্যূনতম ১২ ঘণ্টা সময় লাগে। আজকে অস্ত্রোপচারের সময় প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর আমরা বুঝতে পারি তাদের সেপারেশন সম্ভব হবেনা।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজমুল হক বলেন, জোড়া শিশু দুটির বিষয় চমৎকার ভাবে কাজ করছে চিকিৎসকরা। শিশুদের সেপারেশন করতে কয়েক সপ্তাহ লাগবে। জোড়া শিশু দুটির চিকিৎসার খরচ হাসপাতাল থেকে বহন করা হচ্ছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, নিওরো সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা.অসিত চন্দ্র সরকার, প্লাস্টিক সার্জারির অধ্যাপক ডা. আইয়ুব আলী, এ্যানেসথোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুব্রত কুমার মন্ডলসহ মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২১
জেডএ