ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো কাঙ্ক্ষিত সহযোগিতা করছে না বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, অবশ্যই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যার বিচারের জন্য আমাদের সরকার বদ্ধ পরিকর। বিচার হয়েছে এবং অনেকে পলাতক আছে তাদেরকেও ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের সরকার চেষ্টা করছে। তবে যে, আন্তর্জাতিক শক্তি আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল সেইসব দেশে বঙ্গবন্ধু ও বুদ্ধিজীবীদের খুনিরা লুকিয়ে আছে এবং তাদের সন্তানরাও সেখানে আছে। সুতরাং সেখান থেকে আমরা এখনও কাঙ্ক্ষিত সহযোগিতা পায়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করা দেশি ও আন্তর্জাতিক শক্তি মিলিত হয়ে এখনও ষড়যন্ত্র করছে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যেই আন্তর্জাতিক শক্তি আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, দেশীয় শক্তি যারা আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল সেই স্বাধীনতা বিরোধীদের সন্তানরা এখন পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা আছে, তারা যে আন্তর্জাতিক শক্তি আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তাদের সঙ্গে মিলে আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা প্রবাহ সেটিই প্রমাণ করে।
তিনি আরও বলেন, দেখুন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন শক্তি আমাদের স্বাধীনতা চায়নি এবং আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় পাকিস্তানিদের সহযোগিতা করেছে। আজকেও দেখতে পাচ্ছি সেখান থেকে বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে যারা যুক্ত ছিল, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের পক্ষ অবলম্বন করেছিল তাদের অনেকে সেখানে লুকিয়ে আছে, তাদের সন্তানরা সেখানে আছে, তারা সেখানে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সেইসব দেশে বসেই তারা ষড়যন্ত্র করছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের কথা স্মরণ করে হাছান বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সামরিক গোষ্ঠী, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী, আল বদর, আল শামস, রাজাকারেরা যখন বুঝতে পেরেছিল তাদের পরাজয় সন্নিকট তখন জাতিকে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। তখন শুধুমাত্র ঢাকায় নয় সারা দেশে জেলা শহরগুলোতে, মহকুমা শহরগুলোতে যেগুলো আজকে জেলা শহর, সব জায়গায় ধরে ধরে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২১
এমইউএম/এএটি