পটুয়াখালী: ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ষড়যন্ত্র এবং জাতির পিতার ছবি ভাঙচুর ও কটূক্তি করার অভিযোগ এনে সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের নামে পটুয়াখালী আদালতে নালিশী মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আগামী ১৯ ডিসেম্বর আদালত মামলাটি আমলে নেওয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে আদেশেরে তারিখ নির্ধারণ করেছে।
মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে পটুয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বাউফল উপজেলার বাউফল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. জাহিদুল হক (৪৬)।
বাদীপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এবং অ্যাড. সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ৯ ডিসেম্বর ২০২১, শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার সময় বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় অফিসে বসে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান খুন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর ছবিতে জুতা ঝাটা লাগিয়ে আনন্দ মিছিল করেছি। তাতেই কিছু হয়নি, আর বাউফল আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা যারা আমার বিরুদ্ধে কাজ করে তাদের ডজন খানেক খুন করলেও আমার (আ স ম ফিরোজ) কোনো ক্ষতি হবে না।
ওই দিন বাদী সেখানে উপস্থিত থেকে এ কথা শুনে শিউরে ওঠেন এবং পরবর্তীতে তিনি ৭৫ সালের সেই ঘটনা সম্পর্কিত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন। এর পর গত ১২ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে বাউফল থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
এ মামলায় সাক্ষী হিসেবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়িাম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ১৯৭৫ সালের বরিশাল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান আলতাফ হোসেন ভুলু, বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ফরাজীসহ ১০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২১
আরএ