ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জাতিসংঘ জনসেবা পুরস্কার বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
জাতিসংঘ জনসেবা পুরস্কার বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ 

ঢাকা: জাতিসংঘ জনসেবা পদক-২০২১ পুরস্কার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে উৎসর্গ করছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।  
 
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে জাতিসংঘ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এই পদকটি গ্রহণ করেন।  

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়কে জাতিসংঘ জনসেবা পদক-২০২১ দিয়েছে জাতিসংঘ। ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচিতে (সিপিপি) নারীর ক্ষমতায়নে উদ্যোগের স্বীকৃতি হিসেবে ‘এসডিজি অর্জনে জেন্ডার-রেসপন্সিভ সেবা’ ক্যাটাগরিতে গত ১৩ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে জাতিসংঘ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদেরকে এ পদক দেওয়া হয়। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও সর্ব কালের সর্ব শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে মহান বিজয়ের এই মাসে জনসেবায় শ্রেষ্ঠত্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি তথা জাতিসংঘের এই পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড পাওয়া নিসন্দেহে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অন্যতম সেরা অর্জন।

তিনি বলেন, ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর ঝড়ে ১০ লাখের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। সেই সময়টাতে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের পরপরই তিনি নির্বাচনী কার্যক্রম বন্ধ রেখে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন ও জনগণের পাশে দাঁড়ান। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তিনি তুলে ধরেন, ঘূর্ণিঝড় থেকে মানুষকে রক্ষায় তদানিন্তন পাকিস্তানী সরকারের অবজ্ঞা, অবহেলার ও অদক্ষতার অসংখ্য প্রমাণ। বঙ্গবন্ধুর এই ভূমিকায় নড়েচড়ে বসে বিশ্ব। ক্ষণিকের জন্য হলেও স্তম্ভিত হয়ে পড়ে গোটা বিশ্ব। বঙ্গবন্ধুর সেই ভূমিকায় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ একটি বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির কার্যকরিতা প্রসারিত হয়।

তিনি বলেন, তখন থেকেই দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক করার গুরুত্ব উপলব্ধি করে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষকে রক্ষায় জাতির পিতা হাতিয়ার মৌলভীর চরে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রথম মুজিব কিল্লা (সাইক্লোন সেন্টার সেন্টার) নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এভাবে উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ১৩৭ টি মুজিব কিল্লা নির্মাণ করেন।


বঙ্গবন্ধু নিজেদের শক্তি ও সামর্থকে দুর্যোগ মোকাবেলায় নিয়োজিত করার জন্য সিপিপিকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য উল্লেখ করে ডা. এনামুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার পরই যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিলেন বঙ্গবন্ধু। অনুমোদন দিলেন, সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস প্রোগ্রামের যাবতীয় খরচ বাংলাদেশ সরকার বহন করবে। ১৯৭৪ সালে ওয়ারল্যাসের মাধ্যমে ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান। গড়ে তোলেন বিশাল এক স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী সিপিপি। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এ প্রতিষ্ঠানটিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক রূপে রূপায়িত করার ফলে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচিতেই নারীর ক্ষমতায়নে উদ্যোগের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশকে গৌরবময় পদক দিয়েছে জাতিসংঘ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
জিসিজি/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।