ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অঙ্গীকার বাস্তবায়নের ফলে নারীরা এখন লিঙ্গ-বৈষম্যহীন দুর্যোগ সহনীয় সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের অন্যতম শক্তি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, একসময় দেশের যেকোনো দুর্যোগে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হতেন নারীরা।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ জনসেবা পদক-২০২১ অর্জন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন এবং অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবক কাঠামোতে নারীর সংখ্যা পুরুষের এক-তৃতীয়াংশ ছিল। সক্ষমতা, অংশগ্রহণ এবং নেতৃত্বেও তারা পিছিয়ে ছিলেন। এই অসমতা দূর করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে সিপিপিতে ১৮ হাজার ৫০৫ জন ‘নতুন নারী স্বেচ্ছাসেবক অন্তর্ভুক্তি’ উদ্বোধন করেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে উপকূলীয় এলাকায় সিপিপির ৭৬ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রয়েছেন, যার অর্ধেক নারী। তাদের ব্যাপক অংশগ্রহণের ফলে উপকূলীয় এলাকায় বিশেষ করে নারীদের মধ্যে দুর্যোগের আগাম প্রস্তুতি, নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় করণীয় সম্পর্কে সচেতনতা লক্ষ্যণীয় হারে বেড়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে ওয়ারল্যাসের মাধ্যমে সিপিপির স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। গড়ে তোলেন বিশাল এক স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী সিপিপি। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানটিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আধুনিক রূপে রূপায়িত করার ফলে ‘এসডিজি অর্জনে জেন্ডার-রেসপন্সিভ সেবা’ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশকে গৌরবময় পদক দিয়েছে জাতিসংঘ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
জিসিজি/এনএসআর