ঢাকা: মহান বিজয় দিবস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে জল, স্থল ও আকাশ পথে ত্রিমাত্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সব অনুষ্ঠানস্থল ও এর আশপাশের এলাকায় সার্বিকভাবে সব ধরনের ঝুঁকি পর্যালোচনা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে বাহিনীটি।
র্যাব জানায়- জাতীয় স্মৃতিসৌধ, জাতীয় প্যারেড স্কয়ার, জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান, জনসমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপিত হবে। এদিন অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে সংশ্লিষ্ট এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করেছে র্যাব।
বিজয় দিবস এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ইতোমধ্যে জারি করা সব প্রকার আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক নির্দেশনা বাস্তবায়নে র্যাব ফোর্সেস কাজ করছে।
র্যাব আরও জানায়- সারা দেশে র্যাবের গোয়েন্দা ও আভিযানিক কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও আশপাশে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের মাধ্যমে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ও ইউনিফর্ম টহল বৃদ্ধি করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এছাড়া র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইন নজরদারির মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
টহল জোরদার করার পাশাপাশি দেশব্যাপী বিভিন্ন স্থানে চেকপোষ্ট স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ডগ স্কোয়াড ও র্যাবের বোম্ব স্কোয়াড দ্বারা সুইপিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
সারাদেশে ভিভিআইপি/ভিআইপি, বিদেশি কূটনৈতিক মিশনের গমনাগমনের স্থানসহ জনসমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এমন স্থানে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ডগ স্কোয়াড টিম ও ক্রাইম সিন ভ্যানকে কৌশলগত স্থানে সার্বক্ষণিকভাবে নিরাপত্তার কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। সম্ভাব্য যেকোনো অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাবের স্পেশাল ফোর্স ও এয়ার উইংয়ের হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে।
যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক ও সহিংস ঘটনা রোধে আগাম গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহপূর্বক প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও নিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশব্যাপী অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে একটি দুষ্কৃত চক্র অরাজকতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে হামলা ও নাশকতা চালায়। র্যাব গোয়েন্দা নরজদারি ও সাইবার নজরদারির মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
তিনি আরও জানান, আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কুচক্রী মহলের গুজব, অপপ্রচার ও অপতৎপরতা রোধে র্যাবের সাইবার মনিটরিং সেলের সাইবার নজরদারি ও গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
মহান বিজয় দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সবার সহযোগিতা চেয়েছে র্যাব। একইসঙ্গে যে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে সহযোগিতা পেতে কাছের র্যাব অফিসে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২১
পিএম/এনএসআর