ঢাকা: নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক এমপি মো. গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, মো. গিয়াস উদ্দিনের নামে দুদক থেকে ২০২০ সালের ২ নভেম্বর সম্পদ বিবরণী দাখিলের আদেশ জারি করা হয়। এর প্রেক্ষিতে একই বছর ২৩ ডিসেম্বর প্রতিনিধির মাধ্যমে পরিচালক (বি: অনু ও তদন্ত-১), দুদক, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা বরাবর সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন মো. গিয়াস উদ্দিন।
অনুসন্ধানকালে গিয়াসউদ্দিনের আয়কর নথি অনুযায়ী দেখা যায় যে, ২০১৭-২০১৮ করবর্ষ পর্যন্ত তার নামীয় কাসসাফ শপিং সেন্টার-০১ নির্মাণ ব্যয় প্রদর্শন করেন ৩ কোটি ৭২ লাখ ৩৬ হাজার ৬০০ টাকা, ২০১৮-২০১৯ করবর্ষে উক্ত মার্কেট নির্মাণে বিনিয়োগ করেন ৬ লাখ টাকা, ২০১৯-২০২০ করবর্ষে উক্ত মার্কেট নির্মানে বিনিয়োগ করেন ২ কোটি ৪৫ লাখ ৪১ হাজার ৬৩২ টাকা এবং ২০২০-২০২১ করবর্ষে এ কাজে কোনো বিনিয়োগ প্রদর্শন করেননি। তবে ২০২১-২০২২ করবর্ষে উক্ত মার্কেটের ৮০২ বর্গমিটার নির্মাণে আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ সনের ১৯ এএএএএ ধারায় ১ কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৩১ টাকা ভবন নির্মাণে ব্যয় করেছেন মর্মে দেখা যায়। কিন্তু তিনি আয়ের উৎস প্রদর্শন করতে সক্ষম হননি বিধায় গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ ‘অর্থ আইন-২০২০ (সংশোধিত ২০২১) অনুযায়ী আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ সনের ১৯ এএএএএ ধারায় রিটার্ন অথবা সংশোধিত রিটার্ন দাখিলের তারিখে অথবা তার আগে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর অধীন করফাঁকির অভিযোগে কোনো কার্যধারা বা অন্যকোনো আইনের অধীন আর্থিক বিষয়ে কোনো কার্যধারা চালু হলে এ ধারার বিধান প্রযোজ্য হবে না। ফলে তার কর্তৃক উক্ত ধারায় প্রদর্শিত ভবন নির্মাণে ব্যয়িত ১ কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৩১ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তা নিজ ভোগ-দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বিধায় তার বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২১
এসএমএকে/এমএমজেড