ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তরুণরাই গড়ে তুলবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২১
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তরুণরাই গড়ে তুলবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ কথা বলছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ।

ঢাকা: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তরুণরাই ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলবে, এই হোক আজকের প্রত্যয়।

বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজন উপলক্ষে ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যের আলোচনায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্পিকার।

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মুজিব জন্মশতবর্ষ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক কামাল আবদুল নাসের বক্তব্য রাখেন।

স্পিকার বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দু জাতীয় সংসদ জনগণের প্রত্যাশা পূরণে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। সফলতার অব্যাহত ধারাকে চলমান রেখে গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শোষণ ও বৈষম্যমুক্ত, ক্ষুধা ও দারিদ্র‍্যমুক্ত, উন্নত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে সমৃদ্ধ আগামীর পথ রচনা করতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান স্পিকার।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামে সহযোগিতার জন্য সব মিত্ররাষ্ট্রের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়ে স্পিকার বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের পেছনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান চিরস্মরণীয়। বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষ ও মাটিকে গভীরভাবে ভালোবাসতেন। অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে তিনি লিখেছেন, ‘একজন বাঙালি হিসেবে যা কিছু বাঙালির সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। ’ ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা, ‌১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭০ সালে নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়, একাত্তরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে ২৪ বছরের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। পরাধীনতার গ্লানি মুছে দিয়ে জাতিকে মুক্তি ও স্বাধীনতা তিনি এনে দিয়েছেন।  

বাঙালিকে বিশ্বসভায় আত্মপরিচয় নিয়ে চলার পথ রচনা করেছেন বঙ্গবন্ধু। পাকিস্তানের কারাগার থেকে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফেরার পর মাত্র সাড় তিন বছর সময়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র পুনর্গঠনে তিনি আত্মনিয়োগ করেছিলেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে তিনি ১১৬টি রাষ্ট্রের কাছ থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতি অর্জন করেন। ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে মাতৃভাষা বাংলায় ভাষণ দেন। ভারতের সঙ্গে স্থলসীমানা চুক্তি সম্পাদন, সমুদ্র আইন প্রণয়ন করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময় ২৩১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০২১
এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।