ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে দুর্বৃত্তদের গুলিতে যুবক নিহতের পর গুলিবিদ্ধ চেয়ারম্যান প্রার্থী এরশাদুল হক (৩৫) মারা গেছেন।
শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহত এরশাদুল হক উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেমের ছেলে এবং আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাটঘর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল কাশেম প্রায় সময় অসুস্থ থাকেন। তাই ইউপি নির্বাচনে আবুল কাশেমের স্থলে তার ছেলে এরশাদুল হক এবার চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। শুক্রবার রাতে ইউনিয়নের কুড়িঘর গ্রামের বাজার এলাকায় ওয়াজ মাহফিল চলছিল। সেই মাহফিলে এরশাদ ও বাদলসহ কয়েকজন মোটরসাইকেলে করে সেখানে যান। ওয়াজ মাহফিলে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে উপস্থিত সবার কাছে দোয়া চান তিনি। সেখান থেকে ফেরার পথে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন বাদল এবং তার পেছনে বসা ছিলেন এরশাদ।
পথে দুর্বৃত্তরা গুলি ছুড়লে সামনে চালকের আসনে বসা বাদল প্রথমে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এসময় এরশাদকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত এরশাদকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসক তাকে ঢাকায় পাঠান। তবে ঢাকায় পৌঁছানোর আগেই রাস্তায় এরশাদুলের মৃত্যু হয়।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বাংলানিউজকে বলেন, বাদলের পর এরশাদও মারা গেছেন। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আটক করতে চেষ্টা চলছে।
** ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলিতে যুবক নিহত, গুলিবিদ্ধ চেয়ারম্যান প্রার্থী
বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২১
আরএ